শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সচেতন থাকা উচিত বলে মনে করেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ মার্চ) ড. ইউনূসের বিচার নিয়ে পিটার হাসের বক্তব্যের বিষয়ে তুলে ধরে এ পরামর্শ দেন আদালত।
এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, কোনো বিদেশি কুটনীতিক যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে মন্তব্য করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় আছে কি না। জবাবে আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে পিটাস হাস যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। আমি তাকে আদালতে হাজির করার জন্য বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাচ্ছি না। তবে জেনেভা কনভেনশেন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। তারপরও বিষয়টি কোর্টের ওপর ছেড়ে দিলাম।’
এদিন ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, পিটার হাসের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে জাতিসংঘ, শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিক যারা ইউনূসের মামলা নিয়ে বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন, তাদেরও এ মামলায় আনতে হবে। আর এটা করলে কী হবে, তা সবাই জানে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় বাদীপক্ষের আইনজীবী কোনো রকম ট্রেনিং ছাড়াই মামলা পরিচালনা করছে, এতে সরকার ও আদালত সবারই ক্ষতি করছে।
মন্তব্য করুন