নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ জঙ্গি নেতা ও দাওয়াতি বিভাগের সক্রিয় সদস্য পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. আরিফ হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-৫ জয়পুরহাট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন : পরিচয় লুকিয়ে টিভিতে কাজ করতেন জঙ্গি তুহিন
এর আগে দুপুরের দিকে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ও র্যাব-২ এর সদস্যদের যৌথ আভিযানিক দল নওগাঁর সাপাহার উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আরিফ নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার মধইল গ্রামের মো. ইমাম হোসেনের ছেলে এবং শীর্ষ জঙ্গি নেতা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আরিফ হোসেনসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির অন্যান্য সহযোগী সদস্য গত ২০১৭ সালের ২২ জুলাই ঢাকার মোহাম্মাদপুর থানা এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত টের পেয়ে আরিফ পালিয়ে গেলেও মো. সোহাইব শেখ ও মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক গ্রেপ্তার হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন, একটি ধারালো চাপাতি ও নানা রকম উগ্রবাদী বই উদ্ধার করা হয়। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। পরে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সেখান থেকে বেশ কয়েক জেএমবির সদস্য পালিয়ে গিয়েছিল। আর পলাতকদের মধ্যে আরিফ হোসেন একজন দুর্ধর্ষ জেএমবি নেতা। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আরিফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। এরপর জঙ্গি আরিফ জামিনের পেয়ে পলাতক হয়। পরে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আদালত আসামি আরিফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। জামিন পেয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন ও জেএমবির কার্যক্রম গোপনে চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই জঙ্গি আরিফ জামিন পেয়ে পলাতক হওয়ার পর থেকে র্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প ও র্যাব-২ এর বিশেষ আভিযানিক দল তার অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর টানা ২ দিনের রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা শেষে বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার মধইল এলাকা হতে আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া তার সহযোগী জেএমবির অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানানো হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় সাপাহার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সাপাহার থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, আসামি আরিফ হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন