কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রেমের ফাঁদে ফেলা সেই নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ জন রিমান্ডে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সেই নারীসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ আগস্ট) গ্রেপ্তার চার আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্সী আব্দুল লোকমান তাদের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আদালতের উত্তরা পূর্ব থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নওশের আলী বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘এ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। শুনানি শেষে তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।’

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- প্রেমের ফাঁদে ফেলা নারী শাহনাজ, চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল জহিউর রহমান, মাসুদুর রহমান মিলন ও রিমা আক্তার।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এক বছর আগে বন্ধুর মাধ্যমে আসামি শাহনাজের সঙ্গে ভুক্তভোগী তাজুলের পরিচয় হয়। পরে তাদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা হতো। মাঝে মধ্যে শাহনাজ তার বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা বলে টাকা সাহায্য চাইলে তাজুল বিকাশে টাকা পাঠাতেন।

গত ১৫ আগস্ট শাহনাজ তাকে কল করে উত্তরা পূর্ব থানার একুশে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে তাজুল দেখা করেন। একপর্যায়ে শাহনাজ তাকে যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতে চান।

সিএনজি ভাড়া করে মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালের সামনে পৌঁছান। এরপর শাহনাজ তাকে তার বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দুজন উপস্থিত হন এবং তারা শাহনাজের বান্ধবী বলে পরিচয় করে দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতপরিচিত ৫-৬ জন পুরুষ লোক তার বসার কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তারা নিজেদের ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হঠাৎ ভুক্তভোগীকে মারধর শুরু করেন। তার কাপড় খুলে ফেলা হয়।

এরপর তাদের মধ্যে কেউ একজন তাকে উলঙ্গ অবস্থায় নারীদের পাশে দাঁড় করে ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেন। পরে তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। তার কাছে থাকা ৬ হাজার টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড জোরপূর্বক হাতিয়ে নেন। ভুক্তভোগী প্রাণনাশের ভয়ে তাদের দুটি কার্ডের পিন কোড দিয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তাজুল রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। মামলার পর গত ১৭ আগস্ট চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ১৮ আগস্ট আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন। তারা হলেন- পুলিশের চাকরিচ্যুত এএসআই মাসুম শেখ, আব্দুস সালাম, নাজমুল হাসান ও শওকত আলী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩ ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

শিক্ষার্থী চারজন, পরীক্ষা দেওয়া দুজনের কেউ পাস করেনি

ধারাবাহিকের মূল ভূমিকায় হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী 

রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ

খতমে নবুওয়তের চেতনায় সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাক কালবেলা : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করবেন যেভাবে

চট্টগ্রামে আগুন ৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ২৫ শ্রমিককে উদ্ধার

চীনে ৩০ পাদরি গ্রেপ্তার, বড় অভিযানের আশঙ্কা

মোস্তারির অর্ধশতকে অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

‘ভর্তির পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই কেউ পাস করেনি’

১০

সর্বপ্রথম কোথায় আজান হয়েছিল, কার কণ্ঠে?

১১

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হবে : মির্জা ফখরুল

১২

রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর

১৩

যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত, আন্দোলনরত শিক্ষকদের বড় কর্মসূচি ঘোষণা

১৪

গাজায় সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া!

১৫

রংপুর ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ ৫

১৬

‘ইলেকশন ইন ফেব্রুয়ারি’ স্লোগানে ঢাবিতে ছাত্রদলের মিছিল 

১৭

টাঙ্গাইলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪

১৮

নেসলের ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

১৯

বাবা হলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

২০
X