বিমানবন্দর থেকে আটক হওয়া দুই ব্যক্তির পরনের জামাকাপড় পুড়িয়ে সোনা উদ্ধার করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
দুবাইফেরত মোহাম্মদ শাজাহান ও আলিমের বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাটের দেওয়ার গ্রামে।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শাজাহানকে আটক করা হয়। ওইদিনই সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন আলিম। পরে তাদের পরনে থাকা জামাকাপড়গুলো পুড়িয়ে সোনা বের করা হয়।
দুবাই থেকে দেশে ফিরছিলেন আলীম উদ্দিন (৪০)। বিমানে ওঠার আগেই পরে নিয়েছিলেন দুটি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি প্যান্ট ও শার্ট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন আলীম উদ্দিনের স্বাভাবিক যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়। তার পরিধেয় পোশাকগুলোতে পাওয়া যায় সোনার অস্তিত্ব। অন্তর্বাস থেকে শুরু করে গেঞ্জি ও ব্যবহৃত কাপড়গুলোতে সোনা গলিয়ে লেপে দেওয়া হয়েছিল। স্ক্যানারে পরীক্ষার পর বিষয়টি ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনাটি ঘটে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে আসা আলীম উদ্দিন বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি গোয়াইনঘাটে হলেও তিনি রাজধানী ঢাকায় অবতরণের টিকিট করেছিলেন। বিমান সিলেটে অবতরণের পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে উড়োজাহাজের ভেতর থেকে নামিয়ে আনেন কাস্টমস ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা। পরে স্ক্যানারে পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিধেয় কাপড়ে সোনা গলিয়ে আনার বিষয়টি ধরা পড়ে।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে আলীম উদ্দিনের পরনের চারটি অন্তর্বাস, দুটি গেঞ্জি, একটি শার্ট, প্যান্টসহ মোট আটটি কাপড় জব্দ করা হয়।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, আলীম উদ্দিনের সঙ্গে একই বিমানে আরেকজন সোনা চোরাচালানকারি মোহাম্মদ শাজাহান ছিলেন। তাকে একই দিনে ঢাকা বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তার জামা কাপড়েও সোনার অস্তিত্ব ছিল।
সিলেট কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ) ইনজামাম-উল হক কালবেলাকে বলেন, আলীম উদ্দিন একসঙ্গে কয়েকটি অন্তর্বাস ও গেঞ্জি পরে এসেছিলেন। সেগুলোতে সোনার প্রলেপ দেওয়া ছিল।
মন্তব্য করুন