প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি লালবাগ বিভাগ।
তিনি নিজেকে মৃধা সাহেব বলে পরিচয় দিতেন। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সিল ও নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, দেলোয়ার হোসেন মৃধার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৯৮৮ সালে কারারক্ষী পদে যোগদান করে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চাকরি করে। চাকরিকালীন সময়ে দুর্নীতিসহ অসদাচরণের অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে সে বিভিন্ন জায়গা জমির দালালি করা শুরু করে। পরবর্তীতে তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফে প্রথম বিয়ে এবং ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে। জমি দালালি করাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতারকের সাথে তার পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে সে প্রতারণাকে তার জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে। তার স্থায়ী ঠিকানা মানিকগঞ্জ হলেও প্রতারণা করার স্বার্থে সে কক্সবাজার ও ফরিদপুরে বসবাস করে আসছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার(ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নিজেকে কখনো প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১ এর বার্তা বাহক, কখনো প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টার একান্ত সচিব, কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিবসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, প্রতারক দেলোয়ার মৃধা কারারক্ষী হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরি হারানোর পর প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সর্বশেষ কম ভাড়া দেয়ার জন্য ঢাকা এসে বংশালের একটি হোটেলে এনএসআইয়ের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে উঠেছিল দেলোয়ার। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মশিউর রহমান বলেন, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ ছিল। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে একদিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন