পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে চলমান বন্যায় রোজ বাড়ছে প্রাণহানি। এ নিয়ে গত ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০৬ জনে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ঘরবাড়ি ধ্বংসের কারণে বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বুনের, সোয়াত, শাংলা, মানসেহরাসহ একাধিক জেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তীব্র বৃষ্টির কারণে প্রদেশজুড়ে এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
ডেরা ইসমাইল খান জেলার রেসকিউ ১১২২- এর মুখপাত্র বলেন, গত রাতে ভারী বর্ষণ ও তীব্র বাতাসের কারণে জেলার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এবং আটজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় ছাদ ধসে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন।
পিডিএমএ’র সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত রাতে ডেরা ইসমাইল খানে বৃষ্টিপাতের কারণে ১৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪০৬ জনে দাঁড়িয়েছে । যার মধ্যে ৩০৫ জন পুরুষ, ৫৫ জন নারী এবং ৪৬ জন শিশু। বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৪৭ জন। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫২৬টি বাড়ি।
গত বৃহস্পতিবার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এক সতর্কতা জারি করে জানায়, ২২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রদেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে গত শুক্রবার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) রেড অ্যালার্ট জারি করে। এতে প্রাদেশিক ও জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়, কারণ ২৩ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত নতুন মৌসুমি বৃষ্টি দেশজুড়ে বন্যার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এনডিএমএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সকল অঞ্চলজুড়ে বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাত দেশের অনেক অংশে অব্যাহত থাকে। জুনের শেষের দিকে শুরু হওয়া মৌসুমি বৃষ্টিপাত ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থা বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস এবং বাস্তুচ্যুতির সৃষ্টি করে।
মন্তব্য করুন