সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করার দাবি জানান তারা।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের মিছিলটি বের করা হয়।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে আসে। পরে সড়কের উভয়দিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্লকেড গড়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কটি তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলমান থাকবে। দাবি আদায়ের জন্য আমরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেব তবু পিছপা হব না।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবিতে ২০১৮ সালে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে পরিচালিত ওই আন্দোলনের ফলে সরকার সব ধরনের কোটা বাতিল ঘোষণা করে। পরে ওই বছরের ৪ অক্টোবর ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজনের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবারও আন্দোলনে নেমে পড়েন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে গত ৯ জুন উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে এ রায় স্থগিতের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মন্তব্য করুন