রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবিকে শতভাগ আবাসিকীকরণের দাবি, উপাচার্যকে স্মারকলিপি 

ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শতভাগ আবাসিকীকরণ, ১ম বর্ষের ১ম দিন থেকেই সিট প্রদান, মেয়েদের হল সংস্কার ও সংখ্যা বাড়ানো এবং হলের আশপাশের নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি একই দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন আয়োজন ও এরপর উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জান্নাতি দীপার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সুর্মী চাকমা, তানিম বিন কাইয়ুম, সুমাইয়া শিমু, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শারাবান তাহুরা নিখিতা, ইংরেজি বিভাগের মেফতাহুল শৈলী, ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের রাশা, বাংলা বিভাগের শামিমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আরমানুও হক প্রমুখ।

মানববন্ধনে সুর্মী চাকমা বলেন, ১ম বর্ষ থেকে বৈধ সিট পাওয়াটা আমাদের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। এটা আমাদের প্রতি কোনো দয়া না। আমরা চাই ১ম বর্ষের ভর্তির সময় থেকেই সিট দেওয়া হোক।

তানিম বিন কাইয়ুম বলেন, হলভিত্তিক যে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম সংঘটিত হয় সেখানে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেনা। ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার ফলে টিএসসিভিত্তিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে তারা সক্ষম হয় না।

সুমাইয়া শিমু বলেন, কেউ যখন আমাকে প্রশ্ন করে তুমি কোথায় পড়ো? আমি তখন গর্বের সঙ্গে বলি আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বিভাগ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ি। কিন্তু কেউ যখন জিজ্ঞেস করে তুমি কোথায় থাকো? তখন লজ্জায় আমার মুখটা চুপসে যায়। কারণ তখন আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি না যে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে থাকি।

নিখিতা বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর ধরে একটা বড় অংশ রাজনৈতিক দখলদারত্বের কারণে সিট পায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে রাজনৈতিক দখলদারত্বের আর সুযোগ থাকবে না।

শৈলী বলেন, আমি একজন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে কেন আমাকে ঢাকায় এসে বাসা ভাড়া করতে হবে? কেন আমাকে ভর্তির সময় সিট বরাদ্দ দিতে পারবে না? না পারলে কেন হল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে?

আরমানুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়ায় বেশ কিছু পুলিশ ফাঁড়ি, কর্মচারী সমিতি ভবন, মার্কেটের কার্যক্রম চলমান রেখেছে। কিন্তু আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের ভূমিকা আমরা কখনো দেখতে পাইনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

১০

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

১১

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

১২

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের স্বাস্থ্য চুক্তি

১৩

ভূমিকম্পে নিহত রাফিকে শেষ দেখা দেখলেন মুর্মূষু মা

১৪

নরসিংদীতে ফের ভূমিকম্প, বাড়ছে আতঙ্ক

১৫

বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের বিকল্প নেই : দুলু

১৬

এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ৩২ ভবনে এখনো মানুষের বাস

১৭

মেট্রোরেল লাইনের ওপর পড়ল ড্রোন, অতঃপর...

১৮

জাতীয় নার্স কমিশন হতেই হবে : ফরহাদ মজহার

১৯

রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন

২০
X