ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন। ছবি : কালবেলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন। ছবি : কালবেলা

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শোক দিবস পালন হয়েছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল সাড়ে ৭টায় শোক র‍্যালিসহ জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভিকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ও অধ্যাপক জগদীশ চন্দ্র গুরদাস, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিবাস চন্দ্র মাঝি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নিহতদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করে বলেন, '১৫ অক্টোবর'-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বর্তমান প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার আরেকটি শিক্ষা হচ্ছে একতাবদ্ধতা। জগন্নাথ হল দুর্ঘটনার পরে ধর্ম, বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সারা দেশের মানুষ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। সে সময় মানুষ এক পরিবারে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতেও তিনি সকল মানুষকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এ ছাড়া নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া, বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'সহ সকল হল মসজিদে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করার কথা রয়েছে।

কর্মসূচিসমূহে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। ওই দুর্ঘটনায় ২৬ জন ছাত্র, ১৪ জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০ জন নিহত হন এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অতিথি আহত হন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আমাদের বাংলাদেশের আলিয়া ভাট’

ফেব্রুয়ারিতেই হবে জাতীয় নির্বাচন : আমিনুল হক

গাজীপুরে কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ভুয়া দুদকে বিব্রত দুদক

পৃথিবী শুরুর গল্প বলবে কি প্রাচীনতম শিলা?

অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে যুবলীগ নেতার হেনস্তা

জলবায়ু রক্ষায় প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে টাকা দেবে সরকার

চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

চট্টগ্রামে ৫টি গুইসাপ উদ্ধার

১০

ট্রাম্পের বক্তব্য লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত করেছে : ইরান

১১

‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

১২

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল গাজীপুরের কাঁঠাল

১৩

নেক সন্তান পাওয়ার জন্য যেসব আমল করবেন

১৪

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসা যাবে, তবে...

১৫

গৃহবধূর মরদেহ ফেলে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৬

বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্রী, সাড়ে তিন মাসেও মেলেনি সন্ধান

১৭

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইরানের ফতোয়া

১৮

টিভিতে আজকের খেলা

১৯

ইরাকে রহস্যজনকভাবে ৪০০ গাজেল নিখোঁজ

২০
X