বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে : বাকৃবি উপাচার্য

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। ছবি : কালবেলা
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। ছবি : কালবেলা

মাদকের মতো মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক সবাইকেই মাদকমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদক বিষয়ে সচেতনতা ও ক্ষতিকর দিক নিয়ে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ওই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘মাদকমুক্ত দেশ গড়ি, মাদককে না বলি’ প্রতিপাদ্যে মাদকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ময়মনসিংহ রেঞ্জ ও বাকৃবি প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ওই আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের ও অনুষদের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. শহীদুল হক, বাকৃবির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও বাকৃবির প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক ড. মো. রুহুল আমিন। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার মো. আজিজুল ইসলাম। এ সময় বক্তারা মাদকের পরিচিতি, মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব, মাদকের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ ছাড়া মাদক থেকে পরিত্রাণ, মাদক সম্পর্কিত আইন ও সাজাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠানে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭৩ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। মাদকসক্তের ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। কিশোর ও তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি সুন্দর প্রাঙ্গণে মাদকের মতো একটি ভয়ংকর বিষয় থাকতে পারে না। মাদকের কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিছক আনন্দ ও কৌতূহল, সঙ্গদোষ, হতাশা প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়েছে। মাদকাসক্তির পরিনতি অকালমৃত্যু। বাংলাদেশের মানুষ যেনো মাদকাসক্ত না হয়, তাই মাদকাসক্ত নিরসনে এবং সোনার বাংলা নির্মাণে সচেতন জনগোষ্ঠীর সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভয়াবহ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ অনুমোদন, গাজার পথে ৬০ হাজার ইসরায়েলি সেনা

রাতের আঁধারে সরকারি ৩০০ বস্তা সার আটক

'ওয়ার ২'-এর সাফল্যের মাঝে প্রিয়জন হারালেন জুনিয়র এনটিআর

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ‘পেছনে’ ফেলে ইতিহাস সালাহ’র

তেরোখাদায় পারভেজ মল্লিকের রাজনৈতিক কার্যালয় উদ্বোধন

দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ? চিন্তা নেই, রইল সহজ ৬ সমাধান

৪ নারীকে ধর্ষণসহ ৩২ অভিযোগে ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলের বিচার শুরু

বিএনপির দলীয় কার্যালয় ফিরে পেতে ১৬ বছর পর মামলা

১৩ ঘণ্টা পর ভেসে উঠল নাজিমের নিথর দেহ

দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

১০

জুটি বাঁধছেন মিঠুন-রজনীকান্ত

১১

বাংলাদেশ বিমানের ১০টি চাকা চুরি!

১২

পশ্চিম দিকে থুথু ফেলা কি জায়েজ আছে?

১৩

নিজ বাসভবনে হামলার শিকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

১৪

ই-কারের ভাড়া ৫ টাকা করার দাবি চবি ছাত্রশিবিরের

১৫

কেশবপুরে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

১৬

বিশ্বসুন্দরী মঞ্চে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নাহিন আইয়ুব

১৭

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তুষার নিখোঁজ

১৮

নীরবে শরীরে যে ৭ ক্ষতি করছে ইউরিক অ্যাসিড

১৯

ডুবুরিদের ৩ ঘণ্টার চেষ্টাতেও সন্ধান মেলেনি শিশু নাজিমের

২০
X