খুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহ কারাগারে পাঠানো হলো কারাবন্দি খুবির সেই দুই শিক্ষার্থীকে

কারাবন্দি খুবির দুই শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মাদ অনিক ও মো. মোজাহিদুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা
কারাবন্দি খুবির দুই শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মাদ অনিক ও মো. মোজাহিদুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

চার বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীকে ময়মনসিংহ কারাগারে পাঠিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তাদের খুলনা জেলা কারাগার থেকে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুই শিক্ষার্থী হলেন- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের নুর মোহাম্মাদ অনিক এবং পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের একই ব্যাচের মো. মোজাহিদুল ইসলাম। খুলনা জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খানজাহান আলী থানা কৃষক লীগ কার্যালয় ও ৫ ডিসেম্বর আড়ংঘাটা থানার গাড়ি রাখার গ্যারেজে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সোনাডাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আরও দুটি মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে। একই সময়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার একটি মামলায়ও তাদের আসামি করে।

সোনাডাঙ্গা থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাদের ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপর মামলায় তাদের দুজনের ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া খুলনার খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানা এবং ময়মনসিংহ জেলায় তাদের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানার মামলা দুটিতে তারা জামিন পেয়েছেন। তবে এখনই মুক্তি মিলছে না তাদের। অন্যান্য মামলা থেকে জামিন পেলেই তারা কারামুক্ত হবেন বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন।

গত ১ ডিসেম্বর খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানার দুই মামলায় খুলনার মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বেগম আক্তার জাহান (রুকু)। মামলা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেল।

কারাবন্দি মোজাহিদুল ইসলামের ভাই মোসাদ্দেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়ে তাদের ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ডিবি হেফাজতে রেখে নির্যাতন চালায়। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ফাঁসানো হয়েছে, কারণ তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনা সরকারের সমালোচনা করতেন। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তি চাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইআরআই’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

পাকিস্তানের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি অনুমোদন

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইসির রোডম্যাপ এ সপ্তাহে আর ঘোষণা হচ্ছে না

ভরা মৌসুমেও ইলিশ নেই, হতাশ জেলেরা

গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন তামিম

পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখেন? অজান্তেই ডেকে আনছেন যে অসুখ

দিনাজপুরে পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবন নিয়ে কর্মশালা

মাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে ধরা পড়লেন চীনা গুপ্তচর

নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা

১০

সাদাপাথর লুট, এবার তদন্তে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ

১১

মালয়েশিয়া যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম

১২

ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ইউএনও রাহুল চন্দ ওএসডি 

১৩

ইবনে সিনায় চাকরি, বেতন ছাড়া পাবেন আরও বিভিন্ন সুবিধা

১৪

চট্টগ্রামের চকবাজারে ট্রান্সকম ডিজিটালের নতুন শোরুম উদ্বোধন

১৫

পুরুষদের নয়, পিতৃতন্ত্রকে অপছন্দ করি : বাঁধন

১৬

অনুভূতিহীন তথাকথিত কবি-শিল্পীরা ১৫ আগস্ট শোক জানিয়েছে : রিজভী

১৭

সুখবর পেলেন নারীঘটিত কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়া ক্রিকেটার

১৮

অডিশনের সময়ে বিদ্যা আমাকে গালাগাল করেছিল : বিধু বিনোদ 

১৯

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফাইবার ও পলিমার সম্মেলন ২৬ ও ২৭ আগস্ট

২০
X