জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবিতে রমজানজুড়ে ফ্রি কোরআন শিক্ষা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম। ছবি : কালবেলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম। ছবি : কালবেলা

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হাফেজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই উদ্যোগ এরই মধ্যে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত এই কার্যক্রমটি ১৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) থেকে শুরু হয়। প্রতিদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলে কোরআন শিক্ষা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হাফেজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। সবার মাঝে কোরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়ায় মূল লক্ষ্য এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী, যারা আগে কোরআন পড়তে পারতেন না বা ভুলে গিয়েছেন তারা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোরআন শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক ভূঁইয়া বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত কোরআন শেখার সুযোগ পান না। তাদের জন্যই আমাদের এই আয়োজন, যাতে কেউ দ্বীনি জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত না হন। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করব।

হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কাজি আরিফ বলেন, আমাদের সমাজে ইসলামের মূল শিক্ষা ও অনুশীলনের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামের সুমহান আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা শুধু কোরআন তেলাওয়াত শিখুক তা-ই নয়, বরং ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনার পথও খুঁজে পাক।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক বিন আতিক বলেন, রামাদান হচ্ছে কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে হাফেজ কল্যাণ পরিষদের এ উদ্যোগ কে আমি সাধুবাদ জানাই। হাদিসে এসেছে সেই ব্যক্তি সর্ব উত্তম যে কোরআন নিজে শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়। তারা যদি এমন কাজ সারা বছর করতে পারে তাহলে কুরআনের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে ছাত্রদের জীবন আরও সুন্দর হবে। এছাড়া আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে মোরালিটি অব কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভিতর থাকা হতাশা, ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। প্রসঙ্গত আত্মহত্যার পরিমাণ বাড়ছে- কোরআনের জীবন দর্শন শিক্ষার ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, তারা আমার অনুমতি নিয়েই এই কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমিও সবার মতো এ কাজের প্রশংসা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেওয়ায় বিশ্বকাপ ড্র বয়কট করছে ইরান

আরাকান আর্মির মাদক সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত দেশ

বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজ চুরি, ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ

যুবদল নেতার শতাধিক ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ

প্রশিক্ষিত ২ কুকুর নিলামে বিক্রি

শিশুর মায়ের কোলে থাকার মতোই সনাতনীরা নিরাপদ থাকবে : কাজী আলাউদ্দীন

লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২

দুই আইন পাসের উদ্যোগে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে : বিএনপি

মনোনয়ন নিয়ে যে কৌশলে এগোচ্ছে জামায়াতে ইসলামী

হোয়াটসঅ্যাপে এই ৪ ভুল করছেন? স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট

১০

কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির দুই দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প।

১১

পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০

১২

বাংলাদেশের অনাগ্রহ, পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে ভারতের রপ্তানিকারকরা

১৩

নির্বাচনী ইশতেহারে নারী ও শিশু অধিকার অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে সংলাপ

১৪

কাজেই আসছে না ৫৭ লাখ টাকার সেতু

১৫

কমলো সিলেট-ঢাকা রুটের বিমান ভাড়া

১৬

খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

কারেন্ট পোকার আক্রমণ, রোপা আমনে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

১৮

রাবির দেয়ালগুলোয় ঝুলছে মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

১৯

বেনাপোলে মফিকুল হাসান তৃপ্তির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

২০
X