সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরি করার অভিযোগে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ইসমাঈল হোসেনকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রামেবি সিন্ডিকেট।
শনিবার (২০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
রামেবির সিন্ডিকেটের ১৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেবির রেজিস্ট্রার ডা. আনোয়ারুল কবির।
এর আগে রামেবির উপাচার্য সিন্ডিকেট কমিটির অনুমোদন ছাড়াই ইসমাঈল হোসেনের জাল সার্টিফিকেটের বিয়ষটি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি ইসমাঈলের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে। চাকরি গ্রহণের সময় ইসমাঈল হোসেন প্রথমে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট প্রদান করেন। তার সেই সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এদিকে ২০ আগস্ট রামেবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহা. আনোয়ারুল কাদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জানান, রামেবির সিন্ডিকেটের ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসমাঈল হোসেনের নিয়োগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে যতদিন পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চলবে ততদিন তিনি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। গত ২০ আগস্ট থেকে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম অনুসারে খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এদিকে, এই ঘটনায় রামেবির সিন্ডিকেট কমিটির তিন সদস্যের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তিন সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যলয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্মসচিব মল্লিকা খাতুন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ ডা. মো. নওশাদ আলী। সিন্ডিকেট সভায় আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইসমাঈল হোসেন বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে একই অভিযোগ তোলা হলেও ইউজিসি ও আদালতে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। অথচ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন