পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তুনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
শান্তুনু কর্মকার ঢাকার রাজারবাগ এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, কুয়েটে পুকুরে ডুবে মৃত্যুর খবর পাই বিকেল ৩টার দিকে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ক্যাম্পাসে ছুটে যাই। এসে দেখি শিক্ষার্থীসহ অনেক লোকের সমাগম। আমরা পানিতে নেমে তিন মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করি।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, বিকাল ৩টার দিকে কুয়েট শিক্ষার্থী শান্তুনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। আসতে দেরি দেখে সহপাঠীরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস পৌনে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন