কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ১০:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে চলছে, তাতে ব্যাপক অর্থবহ সংস্কার না হলে এগুলো অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে। কার্যকর ও টেকসই নীতিমালা না থাকায় পাবলিক ফান্ডে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাগাড়ে পরিণত হতে চলেছে। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশোনার মানের দুর্দশার কথা এভাবেই তুলে ধরলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এর বিপরীতে দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুরবস্থা এই পর্যায়ে গেছে যে, এখানে শিক্ষকতা করেন কিন্তু কেউ কেউ সন্তানদের পড়াচ্ছেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

পোস্টে তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই দুর্দশার নানা কারণ আছে যেমন- ক্লাস-পরীক্ষার ঠিক নেই, সেশন জ্যাম, পড়ালেখার চেয়ে অন্যান্য বিষয়ে অধিক অগ্রাধিকার, এছাড়া লেখাপড়ার মানও কিছুটা নিম্নগামী। এই অবস্থা আজকে কিংবা একদিনে তৈরি হয়নি, স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে। কার্যকর ও টেকসই নীতিমালা না থাকায় পাবলিক ফান্ডে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাগাড়ে পরিণত হতে চলেছে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অর্থবহ সংস্কার ছাড়া কেবল র‍্যাংকিংয়ের পিছনে দৌড়ানো হবে আরেকটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ, যা ইতোমধ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করে দিয়েছে।

পোস্টে তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি কি যারা দায়িত্বশীল পদে আছেন তাঁরা জানেন না? বিলক্ষণ জানেন, মন্ত্রী থেকে ছাত্র সবাই জানেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেন না। কেন নেননি, আর কেন নিচ্ছেন না কিংবা ভবিষ্যতে কেন নিতে পারবেন না এর সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ হলো ‘রাজনীতি’, যেটা গোষ্ঠী স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এই ইন্টেরিম সরকারের সুযোগ ছিল দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতটির টেকসই সংস্কার করার। জাতির চরম দুর্ভাগ্য যে, তারা এ বিষয়ে কোনো নজরই দিল না! স্যাড!!

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো 

প্রত্যেক অফিসে ৫০ ভাগ লোক কাজ করে না : আসিফ নজরুল

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, শ্রমিক দল-ছাত্রদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতায় বিপিসির উদ্বেগ 

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ‘মুক্তির পাঠাগার’ স্থাপন করল ছাত্রদল নেতা

চলে গেলেন জীনাত রেহানা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রে দোয়া মাহফিল 

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

ডিম বাছাইকে কেন্দ্র করে দোকানিকে ছুরিকাঘাত

কাজাখস্তানে প্রকাশ্যে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা

১০

তেজগাঁও থেকে ছিনিয়ে নেওয়া রিয়াল উদ্ধার, আটক ৬

১১

মাইক্রোবাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২

১২

আরেক আ.লীগ নেতার কারাদণ্ড

১৩

বাবার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানালেন ছেলে

১৪

মোসাদের সঙ্গে আফগানদের কাজ করার অভিযোগ, কঠোর ইরান

১৫

শহীদ পরিবারের হাতে ‘প্রজন্ম ২৪’ নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন

১৬

ইরানে ১৮ আফগান অভিবাসী আটক

১৭

ইরানের নতুন যুদ্ধ কমান্ডারের নাম জেনে গেছে মোসাদ

১৮

পটিয়া থানার ওসিকে নিয়ে যা বললেন খান তালাত মাহমুদ

১৯

আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার কারাদণ্ড

২০
X