জুলাই আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ধাওয়ায় নিহত মুদি দোকানি ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
বিতর্কের মুখে অবশেষে বদলি করা হয়েছে হাজিরহাট থানার ওসি আব্দুল আল মামুন শাহকে। বদলির বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (২২ জুন) মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বদলি আদেশ থেকে জানা গেছে, হাজিরহাট থানার ওসিকে মহানগর ডিবির পরিদর্শক ও মহানগর ডিবির পরিদর্শক রাজিবুল ইসলামকে হাজিরহাটের ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে মাহমুদুল হকের জামিন শুনানি রোববার দুপুরে রংপুরের আদালতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জামিন শুনানি ঘিরে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে অবস্থান নেন এবং ‘মাহমুদুল হকের মুক্তি চাই’, ‘গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ চলবে না’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা মাহমুদুল হককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান এবং এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার গ্রেপ্তারের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে মাহমুদুল হকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান এবং ঘটনাটিকে স্বাধীন চিন্তার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যা দেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তারা এই গ্রেপ্তারকে গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন এবং দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন