মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে লোহার রড ও কিলঘুষি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাজমুল ইসলাম জিতু (২৩) মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাজমুল ইসলাম জিতু মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার সুবিধার্থে তিনি মিরপুর মডেল থানাধীন হাবুলের পুকুরপাড়া, সায়েদআলী রোডের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়, গত ২৮ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিতুর রুমমেট আনিস তাকে ফোন করে বাসার নিচে নামতে বলেন। নিচে গিয়ে জিতু দেখতে পান, তার রুমমেটের সঙ্গে অভিযুক্ত মো. সুমনের (৩৫) কাপড় শুকানো নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে। জিতু পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তার রুমমেট সেখান থেকে সরে যায়। পরে একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টিউশনি করতে যাওয়ার পথে মিরপুর-১ ছাপাখানার কাছে পৌঁছালে সুমন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন একত্রিত হয়ে জিতুর পথরোধ করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্তরা জিতুর ওপর এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও চড়থাপ্পড় মারতে থাকে। একপর্যায়ে সুমন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জিতুর কোমরের নিচে এবং দুই পায়ে বেধড়ক আঘাত করে। অন্য একজন লোহার রড দিয়ে জিতুর মাথায় আঘাত করতে গেলে জিতু হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে ডান হাতের কব্জি ও বাম হাতের বৃদ্ধ আঙুলের গোড়ায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে জোর করে পাশের একটি দোকানে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে জিতুর কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন।
আহত অবস্থায় প্রথমে জিতুকে মিরপুর-১ ডেল্টা হাসপাতালে এবং পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জিতু।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সুমন মিরপুর থানার ১১ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সুমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লিখিত অভিযোগ পত্রটি এখনো হাতে পাইনি। তবে, হাতে পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও সহপাঠীরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন