চাঁদা না পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাদ সংস্করণ কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্রদেব ঘোষ ও তার কয়েকজন অনুসারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হল সংস্কার কাজের শ্রমিকদের হুমকি ও কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ছাত্রলীগের কয়েকজন। এ সময় তারা দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার সিজানুর রহমানকে শুভ্রদেব ঘোষের ফোন নাম্বার দেন এবং ঠিকাদারকে কথা বলতে বলেন বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের পরিচয়ে কয়েকজন 'ঘুমের ডিস্টার্ব হচ্ছে' বলে ছাদ ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়। এ সময় তারা শুভ্রদেব নামক ছাত্রলীগ নেতার ফোন নাম্বার দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারকে দেন এবং ঠিকাদারকে যোগাযোগ করতে বলেন। অন্যথায় কাজ বন্ধ থাকবে বলে তারা হুমকি দেয়।
আরও জানা যায়, এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই কাজের দেখাশোনা করছেন ইঞ্জিনিয়ার সিজানুর রহমান। তিনি বলেন, টাকা পয়সা না দিলে কাজ করতে দিবে না তারা। এ ছাড়া নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানান তিনি। এ বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীকেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপরে কাজ করার ফলে ধুলাবালি ও ইটের টুকরার কারণে নিচ তলায় অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছিল। তাই নেট না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন কিছু দলীয় শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কিছু দলীয় ছেলেরা কোনো এক বিষয় নিয়ে হল সংস্করণের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সাথে বসতে চেয়েছেন বলে প্রাধ্যক্ষকে জানান।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। আমি প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখার সভাপতি শুভ্র দেব ঘোষ বলেন, আমি এবং আমার কোনো কর্মী কাজ বন্ধের ব্যাপারে জড়িত নই।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই ব্যাপার জানা নেই। তবে এমন কাজে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ঠিকাদার কিংবা অন্য কেউ আমাদের অফিসিয়ালি কোনো অভিযোগ করেনি, তবে বিষয়টি জেনেছি। কাজ বন্ধের সঠিক কারণ ঠিকাদার এবং হল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানার জন্য চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছি। আমরা দেখছি এই ঘটনার সাথে কারা এবং কেনো জড়িত।
মন্তব্য করুন