রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) বাস্তবায়নের একদফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রাবি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সর মুখপাত্র ও সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আন্দোলন করেছি রাকসু যেন কার্যকর হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন দফা দিয়েছে, যা রাকসু ব্যতীত বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে অন্যতম দাবি ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ বাস্তবায়ন করা; কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও এখনো রাকসু তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
সাবেক সমন্বয়ক সানজিদা ঢালি বলেন, এ প্রশাসন আমাদের রক্তের উপর দিয়ে এসেছে। তাদের প্রধান কাজ ছিল আমাদের অধিকার ও প্রধান দাবি রাকসু বাস্তবায়ন করা। কিন্তু এক জুলাইয়ের বিপরীতে আরেক জুলাই এসেছে তবুও আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। যদি আমাদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করতে হবে।
দুপুর পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, এক দফা এক দাবি রাকসু রাকসু, ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, সিন্ডিকেটের কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও, রাকসু আমার অধিকার না দিলে গদি ছাড়- এসব স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নকীব স্যার যখন তার দায়িত্ব নেন তখন তিনি জানান পাঁচ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেবেন। কিন্তু আমরা আজকে দেখতে পাচ্ছি দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় এক বছর হয়ে গেল রাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা শুরু করেছে।
তারা আরও বলেন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর বাধার মুখে তারা রাকসু আটকে দিতে তৎপর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি রাকসু আদায় করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা না হওয়া পযন্ত মাঠ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, রাকসু পথনকশা অনুযায়ী ১৩ এপ্রিল রাকসু বিধিমালা এবং নির্বাচনের আচরণবিধি চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ, ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৩০ এপ্রিল ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি, ১৩ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খসড়া ভোটার তালিকাই প্রকাশ করতে পারেনি।
পথনকশা অনুযায়ী, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ১৫ মে মনোয়নপত্র বিতরণ, ১৯ মে মনোনয়নপত্র দাখিল, ২০মে মনোনয়নপত্র নিরীক্ষা ও বাছাই, ২২ মে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ২৫ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৭ মে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর চলতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহে ভোটগ্রহণের কথা বলা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন