বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো না পূর্বঘোষিত সিন্ডিকেট। সুতরাং পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী হল বন্ধের নোটিশ বহাল এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত থাকছে।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্রবিষয়ক বিভাগের অফিসে এক মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, সিন্ডিকেটে হল খোলার বিষয়ে মিটিং করার জন্য উপাচার্য লিখিত একটি ডকুমেন্টারি চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) ৫ ঘণ্টার মিনিংয়ে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা উল্লেখ করে ছাত্র-শিক্ষক সবার সম্মতিক্রমে ছাত্র-শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত থাকবে। যা সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা কবে। তবে শিক্ষার্থীদের সাথে আমারা এ বিষয়ে বারবার কথা বললেও তারা এতে সম্মতি দেয়নি। যে কারণে সিন্ডিকেট হচ্ছে না।
এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ শিক্ষার্থী পশুপালন অনুষদের এহসানুল হক হিমেল, স্যাররা আমাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন, আমরা মঙ্গলবার মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলাম তাদের সবাই স্বাক্ষর করেছি, তাহলে আবার নতুন করে কেন করতে হবে। তাই আমরা তাদের কথার সাথে একমত নয়। পরে কী কর্মসূচি হবে তা জানানো হবে সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইনে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং আলোচনার সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ মিলিয়ে ৪০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা পূর্বে ঘোষণা করেছিল, হল ভ্যাকেন্ট নোটিশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা কোনো আলোচনায় বসবে না। তবে দ্রুত সমাধানের স্বার্থে তারা আজ নিঃশর্তভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে এবং তাদের ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে।
প্রথমেই একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি বিষয়ে আলোচনা হলেও এর চূড়ান্ত সমাধান এখনো হয়নি, যা আলোচনাধীন রয়েছে। পরে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে হল ভ্যাকেন্ট নোটিশ প্রত্যাহার এবং আন্দোলনরতদের ভবিষ্যতে কোনো একাডেমিক বা প্রশাসনিক হয়রানির শিকার না হওয়ার জন্য লিখিত নিশ্চয়তা দাবি করে।
আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণাসমূহ
• আগামীকাল সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে হল নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে।
• আন্দোলনরত কোনো শিক্ষার্থী (সকল ফ্যাকাল্টির) যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রকার একাডেমিক বা প্রশাসনিক হেনস্থার শিকার না হয় সে বিষয়ে প্রশাসন কর্তৃক লিখিত স্টেটমেন্ট দেয়া হবে।
• আগামী ৭ দিনের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় শুরু করা হবে।
• এ বিষয়ে আগামীকাল বিকাল ৫টার মধ্যে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন