ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন ফাতিমা তাসনিম জুমা। শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে ১০ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসু নির্বাচনের এ ফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস এই শীর্ষ তিন পদেই বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
এর আগে, জুমাসহ শিবিরের অন্য নারী প্রার্থীদের ছবি এডিট করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ইনবক্সে পাঠানো হচ্ছে — এমন অভিযোগ করেন একই প্যানেলের জিএস এস এম ফরহাদ।
জুমা তখন গণমাধ্যমে বলেন, আমার কাছে ৬০০+ স্ক্রিনশট রয়েছে যেখানে আমাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমাকে নিয়ে অশ্লীল ভিডিও বানানো হয়েছে। আজকে এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ হওয়া জরুরি।
এদিকে ঘোষিত ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ৫ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়েছেন। প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।
প্রসঙ্গত, এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন। এবারের নির্বাচনে ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ছাত্রী ৬২ জন। এছাড়া প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটে লড়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
মন্তব্য করুন