হুমায়ুন কবির, সাভার
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থীশূন্য সিটি ইউনিভার্সিটি, ক্যাম্পাসে হামলার ক্ষতচিহ্ন

শিক্ষার্থীশূন্য সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসজুড়ে এখনো শঙ্কার ছায়া। ছবি : কালবেলা
শিক্ষার্থীশূন্য সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসজুড়ে এখনো শঙ্কার ছায়া। ছবি : কালবেলা

শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর থাকা সিটি ইউনিভার্সিটি এখন নীরব ও শূন্য। একসময়ের প্রাণচঞ্চল ক্যাম্পাসজুড়ে এখন ছড়িয়ে আছে ভাঙচুর ও আগুনে পোড়া ধ্বংসস্তূপের নিঃশব্দ সাক্ষ্য। পুড়ে যাওয়া তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেট কার, ভাঙা জানালার কাচ, উপাচার্যের কার্যালয়সহ প্রশাসনিক ভবনের আসবাবের ভাঙা টুকরো—সবই যেন রোববার রাতের সংঘর্ষের নির্মমতার প্রমাণ বহন করছে।

গত রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত আশুলিয়ার খাগান এলাকায় বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর দিনভর আতঙ্কে কাটে স্থানীয়দের সময়। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নির্দেশে হল ছাড়তে শুরু করেন। সন্ধ্যার মধ্যেই হল পুরোপুরি খালি হয়ে যায়।

নিরাপত্তারক্ষী দরবেশ বলেন, ‘গতকালই সবাই চলে গেছে। এখন হল খালি। আমরা একটু ভয়ের মধ্যেই আছি।’

এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব অফিসে হামলা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, গাড়িগুলোতে আগুন দিয়েছে। আমরা থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সমস্যার সমাধান ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ আলোচনায় আসে ও আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়, তবে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, হামলায় তিনটি বাস, দুটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেলসহ প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। উপাচার্যের কক্ষও রেহাই পায়নি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ভোররাত পর্যন্ত থামেনি সেই তাণ্ডব। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসজুড়ে এখনও শঙ্কার ছায়া। শিক্ষার্থীশূন্য ক্যাম্পাসের নিস্তব্ধতা যেন বলছে—আতঙ্ক এখনো কাটেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘গ্লোবাল মিডিয়া এন্ড ইনফরমেশন লিটারেসি’ সপ্তাহ উদযাপন

নির্বাচন কমিশনের কাছে জামায়াতের ১৮ সুপারিশ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোন্থা’

সিসা দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খুবিতে নানা কর্মসূচি

লরির ধাক্কায় উল্টে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় কী আছে

মোবাইলে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দেখবেন যেভাবে

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে কমছে স্বর্ণের দাম, জানা গেল কারণ

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের প্রাণ গেল

১০

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতিও সুপারিশ করেছি : আলী রীয়াজ

১১

বিগত ১৬-১৭ বছরের পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে : নৌ উপদেষ্টা

১২

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে’

১৩

ইউল্যাবের ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

১৪

শীত কবে থেকে, জানালেন আবহাওয়াবিদ

১৫

তিন সাংবাদিককে জামায়াত আইনজীবীর হেনস্তা, কারাগারে পাঠাতে চাইলেন বিচারক 

১৬

ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

১৭

শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বিটিটিএফ, অংশ নিচ্ছে যেসব দেশ

১৮

চলতি বছরে মালদ্বীপে ২৬ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু

১৯

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার

২০
X