

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আল ই’তিসাম-২১’ শীর্ষক শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান হয়েছে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে সকালে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
সকালের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের আলোকে আয়োজিত এ শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি মানেই নতুন জীবনের সূচনা। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করে নৈতিকতার পথে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার এটাই সময়।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিশ্রম, সততা এবং মানবিকতার মূল্যবোধ ধারণ করেই তোমরা সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারবে। ধর্মীয় অনুশাসনের আলোকে জীবন গড়ে তুলতে পারলে জীবনের প্রতিটি কাজই সুন্দর ও সফল হয়। তোমাদের কর্মজীবন হোক সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণামূলক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, কোরআন হচ্ছে বাস্তব জীবনের দিকনির্দেশনা। কোরআনের আলোকে জীবন গড়তে পারলে সামনে কোনো বাধাই থাকবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের কর্মজীবন আরও সুন্দর হোক। ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকে তোমরা নিজেদের জীবনকে আলোকিত করো— এটাই প্রত্যাশা করি।
কি-নোট বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. সাইফুজ্জামান এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর হোসাইন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ’২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী তালহা মাহমুদ। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রশাসন ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদের ইমাম ক্বারি মুস্তাকিম বিল্লাহ এবং দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি আব্দুল কুদ্দুস।
আরও পড়ুন : ময়মনসিংহে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান।
অতিথি হিসেবে ধর্মীয় আলোচনা করেন শায়েখ প্রফেসর মোখতার আহমেদ, শায়েখ ক্বারি আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী এবং কবি মুহিব খান।
মন্তব্য করুন