ভিক্ষাবৃত্তির পথকে বেছে না নিয়ে ব্যবসা করে সংসারের হাল ধরেছেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানো বোরহান উদ্দিন। জীবিকার তাগিদে তিনি বেছে নিয়েছেন ঝালমুড়ি বিক্রির কাজ। তার এই ক্ষুদ্র ব্যবসায় সম্বল কেবল একটি হুইলচেয়ার ও ঝালমুড়ি বানানোর কিছু সস্তা দরের পণ্য। ঝালমুড়ি বিক্রি করেই চালাচ্ছেন দুই সন্তানসহ চারজনের সংসার।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হুইলচেয়ার নিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রয় করতে দেখা যায় বোরহান উদ্দিনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তার ব্যবসার প্রধান ক্রেতা। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর কয়েক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা অকেজো হয়ে যায় বোরহান উদ্দিনের। এরপরেও বেঁচে থাকার লড়াই করছেন তিনি। যত কষ্টই হক ভিক্ষাবৃত্তি নয় বরং ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান। ঝালমুড়ি বিক্রয় করে সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খেলেও এই ব্যবসাকে বেশ সম্মানের বলে মনে করছেন বোরহান উদ্দিন।
বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি আগে ইজিবাইক চালিয়ে উপার্জন করতাম। কিন্তু কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা অকেজো হয়ে যায়। দুনিয়াতে আল্লাহ ছাড়া আমার আপন বলতে কেউ নেই। আমার পা অকেজো হওয়ার কারণে হুইলচেয়ার থেকে উঠতে আমার অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হয় কিন্তু তারপরেও সংসারের হাল ধরতে আমাকে অনেক কষ্ট করে হুইলচেয়ারে বসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমি ঝালমুড়ি বিক্রি করি।
তিনি আরও বলেন, সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ঝালমুড়ি বিক্রয় করে আমার খুব কম টাকা উপার্জন হয়, তা দিয়ে চারজনের পরিবারে খাবারের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়। তবে আমি কখনো ভিক্ষা করিনি বা কখনো কারও কাছে আর্থিক সাহায্য চাইনি।
মন্তব্য করুন