বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৩ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ০৭:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাকৃবিতে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ধরা পড়েছে ছাত্রী-শিক্ষক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদের অধ্যয়নরত শেখ রোজী জামাল হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক করেন তারা। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। পরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে পুরো ঘটনাটি স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী।

এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ ওই শিক্ষার্থীর হলে গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি রোজী জামাল হলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করেন ওই শিক্ষার্থী। এ সময় প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।

ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসার ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

এ বিষয়ে সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারলে আমি তৎক্ষণাৎ রোজী জামাল হলে চলে আসি। ওই ছাত্রী ঘটনার ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কোনোরকম তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে দুদিন আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় প্রায় ১০টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এমতাবস্থায় তাকে হলে রাখা বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুখসানা আমিন রুনা। ওই শিক্ষার্থীর লোকাল অবিভাবকদের ডেকে তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান হল প্রভোস্ট।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছুটির দিনে বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ ইসরায়েলে জোড়া হামলা

ঈদুল আজহা : ট্রেনের ২ জুনের টিকিট বিক্রি আজ

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত

জনতার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব কী, জানালেন ইশরাক 

‘জাতীয় ঐক্য টিকিয়ে রাখতে সেক্রিফাইসিং মেন্টালিটি জরুরি’

‘দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নাই’

মধ্যরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের পোস্ট

গাজা সমর্থন / তিন শক্তিশালী নেতার ওপর চটলেন নেতানিয়াহু

১০

চিকিৎসক সংকটে ৩ মাস অস্ত্রোপচার বন্ধ

১১

ছয় মাসে ৩২০০ বার যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল

১২

২৩ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

এসব কি জুলাই স্পিরিটের পরিপন্থি নয়?

১৪

ইরানের বিরুদ্ধে তেলের ট্যাংকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

১৫

ইসরায়েলের হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করল ইরান

১৬

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৭

২৩ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রনায়ক জিয়ার পদক্ষেপ ছিল যুগান্তকারী : মিফতাহ সিদ্দিকী

১৯

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রক্তদাতার যত্ন: সজীব শরীর, সচেতন জীবন

২০
X