কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের দাবি

পাঁচ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন। ছবি : কালবেলা
পাঁচ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন। ছবি : কালবেলা

দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করাসহ পাঁচ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন।

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনকে সমর্থন ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করনের দাবিতে রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফেডারেশনের অন্য দাবিগুলো হলো- সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর এবং স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করতে হবে; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে; সব ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং জাতীয়করণ হওয়ার আগ পর্যন্ত শতকরা ১০০ ভাগ বোনাস ও সম্মানজনক বাড়িভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। চলমান শিক্ষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ও এর অন্তর্ভুক্ত ৯টি শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, একই দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিরোনামে একই সিলেবাস কারিকুলাম অনুসরণ করে একই বোর্ডের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেসরকারি শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণই সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করছে। অথচ তাদের এই অসামান্য অবদানের জন্য পদ বিন্যাসের মাধ্যমে সম্মান দেখাচ্ছে না, আর্থিক স্বীকৃতিটা যেন তাদের প্রতি দয়া বা অনুগ্রহ মনে করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, সরকার যদি দেশের শিক্ষানীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চায় তাহলে সর্বস্তরের শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করতে হবে। আশা করি, সরকার আমাদের এই দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ঘরে ফেরার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অচল অবস্থা দূর করবেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দুটি শিক্ষাধারা বেসরকারি শিক্ষা হিসেবে চালু আছে। একদিকে সাধারণ শিক্ষা তথা স্কুল-কলেজ অপরদিকে আলিয়াসহ মাদরাসা শিক্ষা। উভয় শিক্ষা আজও অবহেলিত, বঞ্চিত এবং উপেক্ষিত। অতীতে সব সরকারের কাছেই এ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীরা দাবি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আন্দোলন চলছে। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, দাবি মেনে নেওয়া তো দূরের কথা উল্টো তাদের হামলা করে আহত করা হয়েছে। আবার যারা সরাসরি মাঠে আন্দোলন করছেন এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরও নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

তারা আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন যারা এমপিওভুক্ত নয়। তারা প্রতিষ্ঠান থেকে সামান্য বেতন নিয়ে শিক্ষকতা করেন। এসব শিক্ষকদেরও এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম কুরবান আলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম, অধ্যাপক নূরুন্নবী মানিক, অধ্যাপক আবদুস সবুর মাতুব্বর, অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ মনজুরুল হক প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়ন হলে সব ধর্মের সমান মর্যাদা নিশ্চিত হবে : মীর হেলাল 

এবার দেশের মধ্যেই বড় বিপদে পাকিস্তান

বিচারককে হেনস্তা / বিএনপির আইনজীবীদের সনদ বাতিলের দাবি জুডিশিয়াল সার্ভিসের

আরব আমিরাত সফরে ম্যাচ সংখ্যা বাড়ছে লিটনদের

বরখাস্ত শিক্ষক মুনিবুলকে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

সেই ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুকে সম্মাননা

ভারতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

‘পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে’

নতুন চুক্তিতে ইইউ-যুক্তরাজ্য

বংশালে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

১০

বায়রা সদস্যদের ওপর হামলা, আহত ১০

১১

হবিগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২

১২

এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি ভারতের

১৩

নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

১৪

দুর্নীতির ‘দ’-ও বদলায় নাই : রিফাত

১৫

বড় চালান, বড় ধাক্কা : যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকল না ভারতের আম

১৬

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন চালানো হচ্ছে : আসিফ

১৭

মাদ্রাসাশিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও

১৮

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত

১৯

ইশরাককে নিয়ে সারজিসের আবেগঘন স্ট্যাটাস

২০
X