দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এই প্রকল্পের অধীনে মানসম্পন্ন পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী তৈরি, শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী এবং তাদের উদ্ভাবন ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা বিষয়ে এক দ্বিপাক্ষিক সভায় জাইকা এই আগ্রহের কথা জানায়।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান, ইউজিসি সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। জাইকার টেকনিক্যাল এডুকেশন এডভাইজার টিমের প্রধান উপদেষ্টা সারেই মোতো চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
জাইকার সারেই মোতো সভায় বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যায়ে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়াও, উচ্চতর গবেষণার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতিও পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে দ্রুত একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা সহযোগিতা ও যৌথ ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ দেশের উচ্চশিক্ষাখাতে সহযোগিতার জন্য জাইকার এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার পোস্ট গ্রাজুয়েট স্তরে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম। ফলস্বরূপ, অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করতে তেমন আগ্রহ দেখায় না। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রফেসর ফায়েজ বিশ্বে জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনাম উল্লেখ করে বলেন, জাপান থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বাংলাদেশের তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য জাপানে বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বৃত্তি ও ফেলোশিপের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার জন্য জাইকার প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন