জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের এ লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্যাম্পাস সাংবাদিক।
বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে এলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের লং মার্চে পুলিশ হামলা চালায়। এ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ।
সুবর্ণ আসসাইফকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এক্সরে করা হলে দেখা যায় তার কাঁধের কলার বোন ভেঙে গেছে। এর আগে পুলিশ যখন লাঠিচার্জ করে তখন সে ছিল সবার সামনে।
জানা গেছে মাহতাব লিমন মিছিলের সামনে থেকে নিউজ কাভার করছিলেন। তার খুব কাছে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল পড়ে। এতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তিনি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
এছাড়াও ঢাকা ট্রিবিউনের জবি প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য সোহান ফরাজি, দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম, দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি মুশফিকুর রহমান ইমন, দৈনিক বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধি জান্নাতুন নাঈম, দৈনিক সংবাদের জবি প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্য মেহেদী হাসানসহ আরও অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন