কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ৪৫০ বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ 

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ৪৫০ বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ৪৫০ বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

৪৫০ বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেছেন, হেরিটেজ হিসেবে ভবনটি রক্ষা করা যেত। কিন্তু কিছু মানুষের অদূরদর্শিতার কারণে এটি রক্ষা না করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের সময় পাশেই একই ডিজাইনে আরেকটি ভবন নির্মাণ করে ১৭৯ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নানা স্মৃতি ধরে রাখতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হোক।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান ছিলেন ১৯৫৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন ১৯৫৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও কাজী ফার্মসের কর্ণধার কাজী জাহেদুল ইসলাম, ১৯৬৪ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও গবেষক হাশেম সূফী, ১৯৮০ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও নোভা ব্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক এ এফ এম করিম (ফজল)-সহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সভায় সঞ্চালনা করেন সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ।

কাজী জাহেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীর কোথাও লিভিং হিস্ট্রি ভেঙে ফেলা হয় না। ১০০ বছরের পুরোনো ভবন ভাঙতেও রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। অথচ আমাদের ৪৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো ভবনটি ভেঙে ফেলা হলো।

স্কুল ভবনের ইতিহাস তুলে ধরে হাশেম সূফী বলেন, বাহাদুর শাহ পার্কের দুই পাশে ছিল কলেজিয়েট স্কুল ভবন। পরে একপাশে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন ও আরেক পাশের জায়গা গভঃ মুসলিম হাই স্কুলকে দেওয়া হয়েছিল। যে ভবনটি ভাঙা হয়েছে সেখানে ১৮৯ বছরের প্রাচীন এই স্কুলটি ছিল গত ৭৮ বছর যাবৎ। এর আগে এটি ছিল সার্কিট হাউস। তারও আগে পর্তুগিজ ও ইংরেজদের গেস্ট হাউস। ভবনটি ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের আবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সময় রাহমান মুস্তাফিজ বলেন, মূলত আমাদের ৪৫০ বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলা, স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে কথা বলা এবং ১৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিজেদের সংগঠিত করাই এই সভার উদ্দেশ্য। আমাদের আজকের এই আয়োজন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের হাতকে শক্তিশালী করবে।

সভার শুরুতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সভাপতি এইচ টি ইমাম, সহসভাপতি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকসহ যেসব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী মারা গেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোট মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জামায়াতের

গাজার ফুটবল পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ

চাকসু নির্বাচন / ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীকে সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

বিয়েতে বন্ধু না আসায় কবুল বলেনি বর

চাটুকারিতাকে যেভাবে পররাষ্ট্রনীতিতে রূপ দিলেন শেহবাজ শরিফ

ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য শরিয়াভিত্তিক হাউস-কার লোন চালুর পরামর্শ আহমাদুল্লাহর

আগামীর নেতৃত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার

১০

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তার-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

১১

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেননি ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী 

১২

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

১৩

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

১৪

জুলাই আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্ররা : ভিপি সাদিক

১৫

রাকিবের গোলে হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

১৬

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু

১৭

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল

১৮

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমার নাগরিক নিহত

১৯

গাজা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্র-মিসর-কাতার-তুরস্ক

২০
X