দেশের ৫৭ জেলার ৩০৫টি স্কুলকে গবেষণাগার সরঞ্জামাদি কেনার জন্য ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৩টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে স্কুলগুলোকে এ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুল পেয়েছে ৬০ হাজার টাকা করে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয়ের অধীন চিফ একাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১৩ জুন চিঠিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাজেট শাখা) লিউজা-উল-জান্নাহ।
জানতে চাইলে লিউজা-উল-জান্নাহ কালবেলাকে বলেন, ৩০৫টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ল্যাবরেটরির সরঞ্জামাদি কেনার জন্য এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৩টি ক্যাটাগরির মধ্যে এ ক্যাটাগরিতে ২৯ জেলার ১৭৩টি, বি ক্যাটাগরিতে ২৩ জেলার ১১৩টি এবং সি ক্যাটাগরিতে ৫ জেলার ১৯টি স্কুল রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ‘গবেষণাগার সরঞ্জামাদি’ খাতে বরাদ্দকৃত দুই কোটি সাত লাখ টাকা থেকে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নামের পাশে উল্লিখিত অর্থ বরাদ্দ প্রদানসহ ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কয়েকটি শর্তে মঞ্জুর করা হলো।
শর্তগুলো হলো- ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের যাবতীয় প্রচলিত আর্থিক বিধি-বিধান ও নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে; অব্যয়িত অর্থ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে; এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অনিয়ম উদঘাটিত হলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন; কোন প্রতিষ্ঠানের নামে দুবার মঞ্জুরি হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে একটি মঞ্জুরির বিপরীতে মঞ্জুরকৃত অর্থ ছাড় করতে হবে; বরাদ্দকৃত অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুযায়ী গবেষণা সরঞ্জামাদি ক্রয় ব্যতীত অন্যকোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না।
শর্তাবলীর মধ্যে আরও রয়েছে- প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিলের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা/সার্বিক)/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিস্বাক্ষরে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক/জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠানের নামের পার্শ্বে বর্ণিত অর্থ উত্তোলন ও পরিশোধ করতে পারবেন; গবেষণা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের বিষয়টি যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা/সার্বিক) সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন ও মনিটরিং করবেন এবং এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে অবহিত করবেন এবং গবেষণা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রারে তা লিপিবদ্ধ করবেন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের সময় তা প্রদর্শন করবেন, গবেষণা সরঞ্জামাদি ক্রয়ে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
মন্তব্য করুন