দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বড় ধস নেমেছে। এবার পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. তৌহিদুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৫ হাজার ৯২১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৪৫ হাজার ৩৯ জন। এ বছর পাসের হার ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেয়েদের ফলাফল এবারও ছেলেদের চেয়ে ভালো। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৫০ হাজার ৫৪১ জন এবং মেয়ে ৫৫ হাজার ৮০ জন। পাস করেছে ২৬ হাজার ৫১৫ জন ছেলে ও ৩৪ হাজার ২৮৭ জন মেয়ে। পাসের হারে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছে।
এবার মোট ৬ হাজার ২৬০ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৭৭৪ জন এবং মেয়ে ৩ হাজার ৪৮৬ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেয়েদের ফলাফল এবারও ছেলেদের চেয়ে ভালো। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৫০ হাজার ৫৪১ জন এবং মেয়ে ৫৫ হাজার ৮০ জন। পাস করেছে ২৬ হাজার ৫১৫ জন ছেলে ও ৩৪ হাজার ২৮৭ জন মেয়ে। পাসের হারে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছে।
এবার মোট ৬ হাজার ২৬০ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৭৭৪ জন এবং মেয়ে ৩ হাজার ৪৮৬ জন।
গত পাঁচ বছরে পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার এ বছর সবচেয়ে কমেছে। ২০২১ সালে যেখানে পাসের হার ছিল ৯২ শতাংশের ওপরে, সেখানে ২০২৫ সালে তা নেমে এসেছে ৫৭ শতাংশে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৮ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪ হাজার ৫০৬ জন পাস করেন এবং ৮ হাজার ৫৪২ জন অকৃতকার্য হন। ২০২২ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৯ হাজার ৭২৭ জন, পাস করেন ৭৮ হাজার ৯০০ জন এবং অকৃতকার্য হন ২০ হাজার ৮২৭ জন।
২০২৩ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১০ হাজার ৯২৪ জন। তাদের মধ্যে পাস করেন ৮২ হাজার ৬২৭ জন, অকৃতকার্য হন ২৮ হাজার ২৯৭ জন। পরের বছর ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষার্থী হয় ১ লাখ ১২ হাজার ১৫২ জন, পাস করেন ৮৬ হাজার ৯৮২ জন এবং অকৃতকার্য হন ২৫ হাজার ১৭০ জন।
তবে ২০২৫ সালের ফলাফলে দেখা যায় সবচেয়ে বড় ধস—এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৫ হাজার ৯২১ জন, এর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ৬০ হাজার ৮৮২ জন, অকৃতকার্য হয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৯ জন।
এদিকে মোট ৬৬৬টি কলেজের মধ্যে শূন্য প্রাপ্ত কলেজের সংখ্যা ৪৩টি, যা গত বার ছিল ২০টি। অর্থাৎ এবার শূন্য পাসে ২৩টি কলেজে বেড়েছে।
মন্তব্য করুন