বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু স্বপ্ন দেখায় না, সেটির বাস্তবায়নও করে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
গতকাল শনিবার অনলাইনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিজ মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন এবং জমাও দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যে রূপরেখা দিয়েছে, সেটি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে নিজেদের দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো অনলাইন সেবা চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা একজন স্বপ্নচারী রাজনীতিবীদ। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দিন-রাত তিনি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে হবে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চারটি ভিত্তি রয়েছে। এক. আমাদের প্রত্যেকটা সিটিজেন তারা প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হবে- স্মার্ট সিটিজেন। দুই. স্মার্ট ইকোনমি অর্থাৎ সমস্ত ইকোনমিক কার্যক্রম আমরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করব। তিন. স্মার্ট গভর্মেন্ট ইতোমধ্যে আমরা অনেকটা করে ফেলেছি, সেটাও করে ফেলব এবং চার. আমাদের সমস্ত সমাজটাই হবে স্মার্ট সোসাইটি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে ই-গভর্মেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি সব কাজ যেন ই-পদ্ধতিতে হয় সেই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। গোটা বিশ্বে আজ দ্রুত গতিতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। বাংলাদেশও এই বৈশ্বিক ডিজিটাল অগ্রগতি থেকে পিছিয়ে নেই। এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে।
মন্তব্য করুন