

যে কোনো মূল্যে দেশে শান্তি স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা মঞ্চে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে ও ঘরে ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। দেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ আমাদের সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার।
এদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চে ওঠেন। তার সঙ্গে বিএনপির নেতারা রয়েছেন। মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তারেক রহমান।
এর আগে বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান অবতরণ করে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতারা তাকে বরণ করে নেন। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে তিনি খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করে একমুঠো মাটি হাতে নেন। এরপর লাল-সবুজ রঙের একটি বিশেষ বাসে চড়ে গণসংবর্ধনার মঞ্চ ৩০০ ফিটের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পথে পথে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। অপেক্ষমান নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষও তাকে স্বাগত জানান।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি সাজানো হয়েছে। জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন। বর্তমানে তারেক রহমান ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের পথে রয়েছেন। মঞ্চে ভাষণ শেষ হওয়ার পর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি। একই দিন রাত সোয়া ৮টায় লন্ডনের নিজ বাসা ত্যাগ করেন তারেক রহমান। তিনি স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রাত সোয়া ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান।
মন্তব্য করুন