চলচ্চিত্র নির্মাণে গুণগত মান ও সৃজনশীলতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি অনুদান দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জানানো হয়েছে, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রতিটি চলচ্চিত্রকে দেওয়া হবে ৭৫ লাখ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রতিটি চলচ্চিত্রকে ২০ লাখ টাকা করে অনুদান।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের তালিকায় যারা :
শিশুতোষ বিভাগ : রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান (প্রযোজক : জগন্ময় পাল) প্রামাণ্যচিত্র বিভাগ : মায়ের ডাক (প্রযোজক : লাবিব নামজুছ ছাকিব) রাজনৈতিক ইতিহাস ভিত্তিক : জুলাই (পরিচালক: মাহমুদুল ইসলাম) সাংস্কৃতিক ইতিহাস ভিত্তিক : রুহের কাফেলা (প্রযোজক : হাসান আহম্মেদ সানি)
সাধারণ বিভাগে : পরোটার স্বাদ (প্রযোজক : সিংখানু মারমা) খোঁয়ারি (প্রযোজক : সৈয়দ সালেহ আহমেদ সোবহান) জীবন অপেরা (প্রযোজক : এম আলভী আহমেদ) জলযুদ্ধ (প্রযোজক : গোলাম সোহরাব দোদুল) কবির মুখ : The Time Keeper (প্রযোজক : মুশফিকুর রহমান) কফিনের ডানা (প্রযোজক : আনুশেহ আনাদিল) নওয়াব ফুজুন্নেসা (প্রযোজক : মোছা. সাহিবা মাহবুব) জুঁই (প্রযোজক : সুজন মাহমুদ)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের তালিকায় যারা : শিশুতোষ বিভাগ : মন্দ-ভালো (প্রযোজক : মাহবুব আলম)
প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে : ফেলানী (প্রযোজক : সাব্বির) ঝুঁকির মাত্রা (প্রযোজক : তাফজিরা রহমান সামিয়া) জীবনের গান (প্রযোজক : জাহিদ হাসান) রাজনৈতিক ইতিহাস ভিত্তিক : হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই (প্রযোজক : অভীক চন্দ্র তালুকদার) ভরা বাদর (প্রযোজক : মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান) ১২৩০ (প্রযোজক: সালমান নূর)
সাংস্কৃতিক ইতিহাস ভিত্তিক : বৃন্দারাণীর আঙুল (প্রযোজক : শুভাশিস সিনহা) সাধারণ বিভাগে : একটি সিনেমার জন্য (প্রযোজক : সাদমান শাহরিয়ার) দাফন (প্রযোজক : মো. সাইদুল ইসলাম) সাতীর (প্রযোজক : মো. ইফতেখার জাহান নয়ন) মাংস কম (প্রযোজক : নোশিন নাওয়ার) গগন (প্রযোজক : সুমন আনোয়ার) অতিথি (প্রযোজক : মো. আবিদ মল্লিক) বোবা (প্রযোজক : সালজার রহমান) অদ্বৈত (প্রযোজক : সাদিয়া খালিদ) আশার আলো (প্রযোজক : মো. আরিফুর রহমান) গর্জনপুরের বাঘা (প্রযোজক : মো. মনিরুজ্জামান)
সরকার মনে করে, নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে এই অনুদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চলচ্চিত্রে বৈচিত্র্য, সমাজ সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন