বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তোদের অসভ্যতার শেষ হোক : ফারুকী

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি : সংগৃহীত
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি : সংগৃহীত

নতুন বছরে তারকাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বসে শুভেচ্ছার পসরা। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম কিছু দেখা গেল নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক পোস্টে। অভিশাপ দিয়ে নতুন বছর শুরু করতে হয়েছে তাকে।

থার্টিফার্স্টের রাতে ফারুকী লিখেছেন, ‘নতুন বছর শুরু করতে হচ্ছে অভিশাপ দিয়ে। ঘুমন্ত সন্তান যখন কেঁপে-কেঁপে ওঠে, তখন পিতা কেবল অভিশাপই দিতে পারে। কারো আনন্দের বিনাশ আমি কখনোই চাই না। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি : তোদের অসভ্যতার শেষ হোক, শেষ হোক, শেষ হোক! সংযুক্তি : এখন বাজে রাত দুইটা’।

বরাবরের মতো এবারের ইংরেজি নতুন বছরও বরণ করল দেশের মানুষ। তাদের একাংশ আতশবাজি ফুটিয়েছেন, উড়িয়েছেন ফানুস। দেশেন নানা স্থানে এসব থেকে অগ্নিসংযোগও ঘটেছে। কোনো নিষেধ-বারণেই আতশবাজি ও ফানুস থেকে তাদের নিরুৎসাহী করা যায়নি। তাই হয়তো সকালে নির্মাতা ফারুকী আরেক দফা আক্ষেপ ঝেড়েছেন ফেসবুকে।

নির্মাতা লিখেছেন, ওকে, আই হ্যাভ আ সাজেশন। উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু-বয়স্ক মানুষ-রোগী-পশুপাখীদেরও থাকতে হবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যায়? পুরা শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানিয়ে শহরের তিনটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে। আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাই তো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেওয়া দরকার! উচ্চশব্দ হয় এমন কোনো কিছু করলে এই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে করতে হবে। তাতে করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গাগুলার আশপাশের ভবনের মানুষ জানবে কোন সময়টাতে এ রকম শব্দ হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী একটা প্রস্তুতি রাখতে পারে। কাল রাতে যেমন দুইটার পরেও চলছে এই বীভৎস তাণ্ডব!

ফারুকী আরও লেখেন, শেষ করতে চাই একটা কথা বলে, আমি আনন্দ-উৎসব এর বিরুদ্ধে না। কিন্তু ভাইয়েরা একটা কথা বলি। আমরা যখন কোনো ছাদে দাঁড়াই, আমরা কিন্তু সেখান থেকে একটা আস্ত ইট নিয়ে বাইরের দিকে ছুড়ে মারি না! কারণ আমরা চিন্তা করি নিচে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কারো না কারো মাথায় এটা পড়তে পারে, একটা অ্যাকসিডেন্ট হতে পারে। এই যে আমরা এটা ভাবি, এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আমার কোনো কাজে অন্যের ক্ষতি হতে পারে কিনা, এটা ভাবা মানুষের বেসিক জিনিস হওয়া উচিত। সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতঙ্কের ওপর রাখছিলেন, তাদেরও!

এই পোস্টের শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্যে নির্মাতা লিখেছেন—একজন লিখছেন আমি নাকি সারাজীবন এটাকে সমর্থন দিয়ে এই প্রথম এটার বিরুদ্ধে লিখলাম। আমি জানি না তিনি কোথায় পেলেন, যে অন্যের আতঙ্ক সৃষ্টি করারে আমি সমর্থন করছি। সোশ্যাল মিডিয়া মনগড়া কথা লিখার আখড়া! তিনি বোধহয় আমার কাজকর্মের খবরও রাখেন না। আমি যে সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফির মতো একটা সিনেমা বানিয়েছি এটা নিয়ে সেটাও হয়তো তিনি জানেন না। হায় সেলুকাস!

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাবালক উপদেষ্টারা জুলাই ঐক্য নষ্ট করেছে : নুর

নির্বাচনের রাস্তায় আর নয়- ফের জানালেন এরদোয়ান

বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এখন অস্থিতিশীল : আমিনুল হক

শিশুরাই শহর রক্ষার বড় যোদ্ধা হয়ে উঠবে : চসিক মেয়র

আইফোনসহ ইউরোপীয় পণ্যে ৫০% শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ত্রাণ পাহারায় থাকা ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজীপুরে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

‘এনসিপির উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবির দৃষ্টি সরাতেই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নাটক’

বগুড়ায় জুলাই যোদ্ধাদের পাশে সেনাবাহিনী

উপকূলে ভ্যাপসা গরম, পায়রায় তিন নম্বর সংকেত

১০

২ হাজার ৩৬৯ বাংলাদেশির তালিকা করল ভারত

১১

ড্রামা শুধু ক্যামেরার সামনে? মোদিকে খোঁচা রাহুলের

১২

বড়লেখা সীমান্তে বিএসএফের পুশইন ঠেকাতে কঠোর বিজিবি  

১৩

পারকি সমুদ্রসৈকত, পরিকল্পনায় পার ৩০ বছর

১৪

যাদের পর্যটন ভিসার আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র

১৫

তিন মিষ্টি আলু হটাবে ক্যানসার-ডায়াবেটিস

১৬

ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৭

ছিনতাইয়ের শিকার আন্তর্জাতিক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হৃদয়

১৮

বৃষ্টির সময় টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ জনের মৃত্যু

১৯

হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানে পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার

২০
X