বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ সাইমন সাদিক।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতি বরাবর তিনি অব্যাহতিপত্র জামা দেন।
অব্যাহতি প্রসঙ্গে সাইমন সাদিক জানিয়েছেন, সাত থেকে আট মাস আগে থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যখন থেকে ভিনদেশি সিনেমা এদেশে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন থেকে আমি শিল্পী সমিতিতে নেই। গত ছয়-সাত মাস ধরে আমি সমিতিতে যাই না।
তিনি আরও জানান, প্রথম যখন চুক্তির বিষয়ে কথা হয় তখন আমার বক্তব্য ছিল ২০১৭ সালে আমরাই আন্দোলন করেছি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এখন কেন আমাদের এটার পক্ষে যেতে হবে। আমার তো একমাত্র পেশা অভিনয়। আমার তো দায় আছে এই সংস্কৃতির প্রতি দেশের প্রতি। ওনারা আসুক নিয়ম মেনে আসুক। এখন যেহেতু আমাদের ছবিই হুমকির মুখে আর তাই আমি এ বিষয়ে একমত না। আমাদের শিল্পীরা আমাদের ভোটে নির্বাচিত করেছেন। অনেক ভালোবেসে অনেক সম্মান দিয়ে সেই জায়গাতে আসলে আমরা কী করতে পেরেছি?
ওদের সাথে থাকতে না পারায় গত সাত-আট মাস ধরে আমি সমিতিতে তেমন যাইনি, কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। আমি যেটা পারি না সেখান থেকে নীরবে চলে আসি এবং চলে আসলাম। কিন্তু আমার সম্ভাবনাময়ী একটি সিনেমার সঙ্গে ভিনদেশি একটা সিনেমা মুক্তি দেওয়ায় আমি মনে করি- আমার ক্যারিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাকেও তো এই দেশে মোটামুটি কিছু মানুষ পছন্দ করেন, ভালোবাসেন। ‘শেষ বাজি’ অনেক ভালো একটা সিনেমা ছিল। আসলে হল সংখ্যা যখন কমে যায় তখন একটা সিনেমার অনেক ক্ষতি হয়। এই ক্ষতিটা আমার হয়েছে। আমি যেহেতু সংগঠনে আছি সংগঠন আমার পাশে দাঁড়ায়নি এবং এই বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেনি। যে কারণে আমি ভাবলাম এখানে থাকার কোনো প্রয়োজন আমি দেখছি না।
সাইমন সাদিক আরও বলেন, ভিনদেশি সিনেমার ব্যাপারে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন ওই সভায় আমি ছিলাম এবং সবাইকে আমি বলেছিলাম ২০১৭ সালেও আমি ছিলাম না এবং শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে আমি এই সিদ্ধান্তে এখনও নেই এবং কোনো দিন থাকব না। যে কারণে আমি সাহস করে চিঠিটা দিলাম। আমি আমার দেশকে ভালোবাসতে চাই এবং আমার দেশের সংস্কৃতি ও মানুষের সাথে থাকতে চাই। চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট যারা আছেন সকলেই আমাকে এই বিষয়ে অ্যাপ্রিসিয়েট করেছেন। তারা বলছেন, এটা সময়উপযোগী সিদ্ধান্ত এবং অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল।
সাইমন সাদিক এসময় নিশ্চিত করেন, এই সিদ্ধান্ত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্রীক কোনো ইস্যু না। এটা একদমই আমার ব্যক্তিগত। এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মন্তব্য করুন