স্বভাবে আনাড়ি, খেয়ালে হেয়ালি, আর কথায় রসিক এমনই এক চরিত্র মির্জা। বয়স পঞ্চাশ, পেশায় প্রাইভেট ডিটেকটিভ, আর ব্যক্তিত্বে বুদ্ধির ঝলক। সাত বোনের আদরে গড়া এই একলা জীবনের একটাই অসমাপ্ত অধ্যায়, বিয়ে। এখন পুরো পরিবার একজোট হয়ে নেমেছে ভাইয়ের জন্য ‘যুগল-যুদ্ধ’-এ। আর এই রহস্যময় অথচ হাস্যরসাত্মক চরিত্রে ফিরছেন মোশাররফ করিম, যার অভিনয়ে প্রাণ পায় প্রতিটি দৃশ্য।একদিকে জটিল মামলার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ, আরেকদিকে বোনেদের পাত্রী খোঁজার প্রতিযোগিতা। মির্জার জীবন এখন এক রোমাঞ্চকর নাটকের মঞ্চ।
একটি মামলার ঘটনা নিয়েই আগামী ২৩ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে আসছে ওয়েব ফিল্ম ‘মির্জা’। ফিল্মটির নামভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। হাস্যরস ও রহস্যের মিশেলে তৈরি এই ওয়েব ফিল্মটি সাধারণ গোয়েন্দা গল্পের ধারা ভেঙে দর্শকদের সামনে ভিন্ন কিছু নিয়ে আসছে।
গল্পের শুরুতে দেখা যায়, লুনা নামের একজন সুন্দরী তরুণী তার নিখোঁজ যমজ বোনের হদিস পেতে মির্জার কাছে সাহায্য চাইতে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে সাদামাটা একটি মামলা ধীরে ধীরে পরিণত হয় এক বিপদজনক গোলকধাঁধায়। আসলে এই মির্জা দেখতে যতটা সহজ, ঠিক ততটা সহজ নয়; বরং গভীরে আরও কিছু উন্মোচনের বাকি থাকে। যেখানে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর মাফিয়া, একজন সন্দেহপ্রবণ পুলিশ কর্মকর্তা আর কিছু ভয়ঙ্কর গোপন সত্য।
পরিচালক সুমন আনোয়ার তার ‘রাতারগুল’, ‘কালাগুল’ ও ‘সদরঘাটের টাইগার’-এর মতো কাজের জন্য সুপরিচিত। মির্জা-তেও তিনি নিজের মুন্সিয়ানা ধরে রেখেছেন। ফিল্মটিতে রহস্য, হিউমার ও বাস্তবজীবনের এক অদ্ভুত রসায়ন তৈরি করেছেন, যা গোয়েন্দা ঘরানায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
সুমন আনোয়ার বলেন, ‘মির্জা একটি জটিল গল্পের গোয়েন্দা আখ্যান। আপনি যখনই ভাববেন সব বুঝে গেছেন, ঠিক তখনই মির্জা এমন কিছু দেখাবে, যা কখনও আপনার চিন্তায় ছিল না।’
এ ফিল্মে মোশাররফ করিম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা, জুনায়েদ বোগদাদী, খালিদ হাসান রুমি, রাসেল, মামুন, অরণ্য, সৌমি, সামিরা, দোয়েল, বর্না, ঐশী ও শিবলু।
মন্তব্য করুন