বেশ খানিকটা নাটকীয়তার পর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজার থেকে মায়ের কাছে ফিরেছেন অভিনেতা সমু চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) গভীর রাতে সমু চৌধুরী নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসিমুখে ঢাকায় ফেরেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম।
তিনি বলেন, শেষ রাতে সমু চৌধুরীকে তার খালাতো ভাই অপুর কাছে হস্তান্তর করেছি। এ সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের কয়েকজন সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে ঢাকায় ফিরেই আরেকটি আবেগঘন সিদ্ধান্ত নেন সমু চৌধুরী—তিনি সরাসরি যশোরে মায়ের কাছে ফিরে যান। দীর্ঘদিন পর মায়ের কোলে ফিরেই যেন সব গুঞ্জন, বিভ্রান্তি ও ক্লান্তি ভুলে শান্তির পরশ খুঁজে পান এই অভিনেতা। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালেই তিনি যশোরে পৌঁছান বলে অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
১২ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের গাছের নিচে গামছা পরে শুয়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয়। ছবিটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় থানার পুলিশ অভিনেতাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যায়। তবে তিনি মাজার থেকে ফিরতে চাইছিলেন না। পুলিশকে বুঝিয়ে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। মাজারে অবস্থানকালেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন সমু চৌধুরী।
ছবি ভাইরাল হওয়ার পর ভক্ত ও সহকর্মীরা চিন্তায় পড়ে যান অভিনেতাকে নিয়ে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমু চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি মাজারে এক কাপড়ে এসেছি। কাপড় ধুয়ে দেওয়ার পর, আমার কাছে অন্য কোনো পোশাক ছিল না। তাই আমি গামছা পড়ে বটগাছের নিচে শুয়েছিলাম। উঠে দেখি সারা বাংলাদেশ ভাইরাল। পুলিশ এসে নিয়ে গেছে, আমাকে নাকি ঢাকা পাঠাবে। পরে কথা বললাম। তারা বুঝতে পারলেন, সবই ঠিক আছে।’
সমু চৌধুরী ছাত্রজীবনে যশোর উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টানা ১০ বছর উদীচীর হয়ে পথনাটক, মঞ্চনাটক ও গণসংগীত করেছেন। পরে ঢাকা উদীচী, ঢাকা থিয়েটার, নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
এরপর ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘সমৃদ্ধ অসীম’। নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সমু চৌধুরী কাজ করেছেন পাঁচ শতাধিক নাটকে এবং ১২টি চলচ্চিত্রে।
মন্তব্য করুন