কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাসেল ভাইপারের হঠাৎ কেন এত বিস্তৃতি

রাসেল ভাইপারের হঠাৎ কেন এত বিস্তৃতি
রাসেল ভাইপারের হঠাৎ কেন এত বিস্তৃতি | ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিশেষত পদ্মার চরাঞ্চল, নদী অববাহিকা ও বরেন্দ্র এলাকায় উঁচু-নিচু ঘাস বা ফসলের জমিতে এই সাপটি বেশি দেখা যায়। তবে বিগত কয়েক বছরে সাপটি দেশের নদী বিধৌত বেশ কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

জোহরা মিলা বলেন, ‘এই সাপটি কোনো নির্দিষ্ট আবাসস্থলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, এবং যদিও এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খোলা, ঘাসযুক্ত বা ঝোপঝাড় এলাকায় পাওয়া যায়। তবে এটি বনে, আবাদী এবং কৃষিজমিতেও দেখা যেতে পারে।

এটি ঘন বন এড়িয়ে চলে এবং সমভূমি, উপকূলীয় নিম্নভূমি এবং পাহাড়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই প্রজাতিটি প্রায়ই গ্রামাঞ্চলে বসতির আশেপাশে পাওয়া যায়, যেখানে ইঁদুরের বিস্তার বেশি।

অন্যান্য সাপের তুলনায় এই সাপের বংশবিস্তারের হারও বেশি। প্রজাতিভেদে বাংলাদেশের রাসেল ভাইপার ৬-৬৩টি বাচ্চা প্রসব করে।’

তিনি বলেন, দুই দশক আগেও রাসেল ভাইপার খুব একটা দেখা যেত না, কিন্তু গত এক দশকে এই সাপের সংখ্যা বা বিস্তার বেশ বেড়েছে।

তার ধারণা, রাসেল ভাইপার স্থলজ সাপ হলেও অনেকক্ষেত্রে এটি বন্যার পানিতে বা কচুরি পানায় ভাসতে ভাসতে বহুপথ অতিক্রম করতে পারে। বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চল থেকে সাপটি হয়তো এভাবেই পদ্মা নদী অববাহিকার জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

সাম্প্রতিককালে ফসলের বিশেষ করে ধানক্ষেতে রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি নিয়ে জোহরা মিলা বলেন, ‘ইঁদুর, ব্যাঙ, ছোট পাখি ও টিকিটিকি রাসেল ভাইপারের প্রিয় খাবার।

যেহেতু ফসলের ক্ষেতে ইঁদুরের উৎপাত বেশি তাই খাবারের খোঁজে সেখানে গিয়ে হাজির হয় রাসেল ভাইপার।’

‘এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে ঝোপঝাড়ের পরিমাণও কমে গেছে। ফলে অনেক সময় বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ ও পর্যাপ্ত খাবার পেয়ে ফসলের ক্ষেতের আশেপাশেই আবাস গড়েছে এই সাপ; বংশবিস্তার করছে। কৃষকরা যেহেতু ফসলের ক্ষেতেই কাজ করেন তাই তারাই বেশি রাসেল ভাইপারের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।’

‘তাছাড়া বসতবাড়ির আশপাশেও ইঁদুর ও টিকটিকি প্রাচুর্যতা বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে রাসেল ভাইপার অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে এবং মানুষকে দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আক্রমণ করে বসে’, বলেন তিনি।

আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে প্রায় হুমকিগ্রস্ত প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী সাপটি রক্ষিত প্রাণী বলেও জানান এই বন্যপ্রাণী গবেষক ও বন কমকর্তা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১০

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১১

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১২

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৩

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৪

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৫

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

১৬

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

১৭

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

১৮

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১৯

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

২০
X