কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধারণার চেয়ে বেশি মানসিক রোগী নারীরা : গবেষণা

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

মানসিক রোগের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। সমাজে পুরুষের মানসিক রোগ যেভাবে যতটা প্রদর্শিত হয়, নারীদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই আড়োলে থেকে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো নারীদের যেভাবে ধারণা করা হয় বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের অ্যাঙ্গলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্পোরেট সাইকোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ক্লাইভ বডি সম্প্রতি এক গবেষণায় জানান, সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে মানসিক রোগের ক্ষেত্রে পুরুষদের হার অনেক বেশি। এ রোগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অনুপাত ৬ : ১। যার মানে হলো প্রতি ছয়জন পুরুষের বিপরীতে একজন নারীকে মানসিক রোগে আক্রান্ত দেখা যায় ।

গবেষণায় বলা হয়, ধারণার চেয়ে বাস্তবতা অনেকটাই আলাদা। প্রকৃতপক্ষে সমাজে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে মানসিক বিশেষ করে সাইকোপ্যাথ জাতীয় মানসিক রোগীর অনুপাত প্রায় সমান। বাস্তবে এ অনুপাত হলো ২ : ১ অথবা ১ :১। অর্থাৎ প্রতি দুজন পুরুষের বিপরীতে একজন করে নারী মানসিক রোগে আক্রান্ত অথবা এ হার সমান সমান।

গবেষণাপত্রে এ গবেষক বলেন, নেতিবাচক মানসিক বৈশিষ্টের নাম হলো কপটতা, প্রতারণা, বিরোধী মনোভাব, সহানুভূতির অভাব ও অগভীর আবেগ। সাইকোপ্যাথের ক্ষেত্রে এসব বৈশিষ্ট অতিমাত্রায় দেখা যায়। এছাড়া এ রোগীরেদ আরও কিছু বৈশিষ্ট হলো সহমর্মিতা বা অপরাধবোধের গুরুতর অভাব, বার বার মিথ্যা বলা, নিষ্ঠুরতা, আত্মপ্রেম ও জালিয়াতির প্রতি ঝোঁক। তারা সবসময় অর্থ ও ক্ষমতার পিছে ছুটে এবং অন্যকে নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছাও তাদের মধ্যে প্রবল।

তিনি জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাইকোপ্যাথ রোগীদের প্রাথমিক ও প্রধান উপসর্গ হিসেবে ধরা হয় এমন অনেক আচরণ আমাদের সমাজ কাঠামো ও প্রচলিত মূল্যবোধে পুরুষালি আচরণ হিসেবে ধরা হয়। ফলে কোনো নারী এমন আচরণ করলে আমরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়। আমাদের এগুলোকে কখনও সাইকোপ্যাথের লক্ষণ হিসেবে মনে হয় না।

তিনি আরও জানান, সাইকোপ্যাথ পুরুষদের ক্ষেত্রে শারীরিক সহিংসতায় জড়ানোর প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে মৌখিক সহিংসতা অর্থাৎ গালাগালি অপমান ইত্যাদির প্রবণতা বেশি দেখা যায়। রোগটি আড়ালে থাকাও এ রোগের অন্যতম লক্ষণ।

ড. ক্লাইভ জানিয়েছেন, কোনো রোগী মানসিক সাইকোপ্যাথ কিনা তা নির্ধারণে মনোবিজ্ঞান যে পরীক্ষার কথা বলেছে তাতেও পুরুষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ পরীক্ষার দুটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে রোগীর সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, স্বার্তপরতার মনোভাব ইত্যাদি দেখা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে রোগীর সমাজবিরোধী কার্যকলাপের প্রবণতা, সহিংসতা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহিংস কিনা তা দেখা হয়।

যুক্তরাজ্যের এ গবেষক জানান, সমাজে নারী ও পুরুষের আচরণ ভিন্ন। নারী সাইকোপ্যাথদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আচরণ মৌখিক সহিংসতায় সীমাবন্ধ থাকে। তাই পরীক্ষায় অনেক সময় এ রোগ ধরা পড়ে না। এছাড়া অন্যান্য পরীক্ষায়ও অনেক ঘাটতি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১০

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১১

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৩

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৪

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৫

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৬

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৭

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৮

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৯

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

২০
X