কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৩ এএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতকালে হৃদরোগীদের করণীয়

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

শীতের তীব্রতা বাড়লে উচ্চরক্তচাপ, হার্টের ব্যথা এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে। সাধারণত শীতে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে। বর্তমানে দেশে অসংক্রামক রোগে যতজন মারা যাচ্ছেন তার ৩৬ শতাংশই হৃদরোগী।

শীতের প্রভাবে রক্ত উপাদানে কিছু পরিবর্তন আসে। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী রক্তকণিকা, প্লাটিলেট, লোহিত কনিকা, ফিব্রিনোজেন এবং কোলেস্টেরল বেড়ে যায় এ সময়। এতে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বাড়ে ২০ ভাগ পর্যন্ত। এর বাইরে যারা ডায়াবেটিস, হাইপারটেশনের মতো অন্য রোগে ভুগছেন তারা আছেন বেশি ঝুঁকিতে। এ সময়ে তাই তাদেরও থাকতে হবে বেশি সতর্ক। কেননা শীতে সাধারণত আমাদের শরীর উষ্ণ রাখতে হৃৎযন্ত্রকে প্রায় দ্বিগুণ কাজ করতে হয়।

হৃদরোগের কিছু লক্ষণ

বুক, পিঠ, পেট, গলা, বাঁ বাহুতে ব্যথা, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি। শ্বাসকষ্ট হবে ও পাকস্থলীর ওপরের দিকে অসহনীয় ব্যথা হবে। মাথা হালকা লাগতে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়

হৃদরোগ হতে পারে জন্মগত, বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপজনিত, হৃৎপিণ্ডে স্বল্প রক্ত চলাচলজনিত কারণে। হৃৎপিণ্ডে মাংসের দুর্বলতাজনিত কারণেও হৃদরোগ হয়।

শীতকালে হৃদরোগীর করণীয়

শরীরচর্চা সবসময়ই ভালো। তবে হৃদরোগীদের সেটি করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে। শীতের সকালে তীব্র ঠান্ডায় হাঁটা মোটেও উচিত হবে না। বিকেল বা সন্ধ্যায় সূর্যের আলো ফুরিয়ে যাওয়া আগে হাঁটা ভালো।

শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ঘরের ভেতরেই বেশি সময় পার করা উচিত। অন্যান্য শীতের কাপড়ের পাশাপাশি হাত ও পায়ে মোজা পরতে হবে। গোসল করতে হবে হালকা গরম পানি দিয়ে।

ভারী খাবার সব বয়সেই হৃদযন্ত্রে বাড়তি চাপ ফেলে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারও কম পরিমাণে নিয়ে কয়েকবারে খেতে হবে। পানি ও লবণ গ্রহণের মাত্রার ওপর নজর রাখতে হবে।

তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে শরীরের স্পর্শকাতর স্নায়ুতন্ত্রের সক্রিয়তা বেড়ে যায়। এতে রক্তনালির সংকোচনের ফলে হার্টের জন্য শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত পাম্প করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই বর্ধিত চাপের কারণে অ্যানজিনা, হার্ট অ্যাটাক, অ্যারিদমিয়া এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শীতে ঘরে হৃদরোগী থাকলে পরিবারের বাকি সদস্যদের এ সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। রোগীর বুকে অস্বস্তি, ঘাম, হাঁসফাঁস অনুভূতি, ঘাড়, কাঁধ কিংবা চোয়ালে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিলে অবহেলা করা যাবে না।

বেশি শীতের প্রকোপে হার্টের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন শুরু হতে পারে। যার ফলে তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটাও অস্বভাবিক নয়। পেট ভরে খেয়ে ঠান্ডার মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলে সহজেই অ্যানজিনার ব্যথা শুরু হতে পারে। এর জন্য রক্তনালির সংকোচন দায়ী।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা,

জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুজতেছি না এ সরকার কি আমাদের, নাকি কাদের: ইব্রাহীম

কবি নজরুল ছিলেন মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত : ডা. ইরান

শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু মঞ্চ ও পোশাক কর্মশালা

এবার চতুর্থ সারির ক্লাবের কাছে হেরে ম্যানইউর বিদায়

ড. মাসুদের প্রচেষ্টায় দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলো ৩ ইউনিয়নের মানুষ

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

১০

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

১১

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

১২

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

১৩

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

১৪

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১৫

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

১৬

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

১৭

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

১৮

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৯

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

২০
X