কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এবার ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের পতনের ডাক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির পার্লামেন্ট। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির পার্লামেন্ট। ছবি : সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু—এমনটাই বলছেন ইসরায়েলের বিরোধী নেতা ইয়াইর গোলান। শনিবার তিনি স্পষ্টভাবে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে এবং দেশকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে অবিলম্বে বিদায় নিতে হবে।’

গোলান দাবি করেন, মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেই প্রমাণ মিলেছে- নেতানিয়াহু, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখার স্বার্থে বন্দি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাগুলো বারবার নস্যাৎ করেছেন।

এক্স (টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা গোলান বলেন, ‘এই চুক্তি বাধাগ্রস্ত করছেন নেতানিয়াহু ও তার উগ্রপন্থি মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সেনা ও বন্দিদের জীবন তাদের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের মন্ত্রিত্ব ও পদ রক্ষা করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু, স্মোত্রিচ ও বেন গাভির হলো চরমপন্থি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যারা পুরো দেশকে এক নির্মম নরকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বারবার শান্তি প্রচেষ্টা বানচাল করে এরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার খেলায় মেতেছে।’

গোলানের এই কঠোর মন্তব্য এমন সময় সামনে এলো, যখন নিউইয়র্ক টাইমস তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে জানায়—গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত ছিল মূলত রাজনৈতিক। এতে বলা হয়, নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি জোটসঙ্গীরা গাজায় যুদ্ধ ও মানবিক সংকট অব্যাহত রেখে নিজেদের ক্ষমতা ও জনসমর্থন ধরে রাখার কৌশল বেছে নিয়েছেন।

এদিকে বন্দি বিনিময় চুক্তি দ্রুত কার্যকরের দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে শনিবার রাতভর হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধ বন্ধ করে গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।

নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ এবং চাপ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেরুদণ্ড সমস্যায় কর্মহীন ৬০ ভাগ রোগী

‘কৃষিজমি ও পরিবেশ নষ্ট করে বর্জ্যের প্লান্ট করা যাবে না’

‘জুলাই যোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সনদে জরুরি সংশোধন হচ্ছে’

তিন মাসে রেকর্ড রাজস্ব আদায়

জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নেত্রকোনায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী / কালবেলা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে : পুলিশ সুপার

প্রস্রাবের রং কারণ ছাড়াই ঘোলাটে, এটা কীসের ইঙ্গিত

তদন্তের মুখে তিন দক্ষিণী অভিনেত্রী

বরগুনায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া গাছ রোপণ

এইচএসসি পরীক্ষায় আমিরাতে বাংলাদেশি দুই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য 

১০

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পালক কোন পাখির?

১১

চাঁদপুরে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপযাপন / সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের লেখনীর বিকল্প নেই : সলিম উল্লাহ

১২

লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা

১৩

ফ্যাসিস্টদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না : সালাহউদ্দিন

১৪

লালমনিরহাটে আনন্দঘন পরিবেশে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৫

কালবেলার সংবাদ পাঠকদের কাছে সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্য : জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

১৬

সংসদ ভবনে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টায় পুলিশ 

১৭

বিশ্বকাপের শেষ ট্রেন ধরল আমিরাত, চূড়ান্ত ২০ দলের তালিকা প্রকাশ

১৮

সার কীটনাশক সিন্ডিকেটের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে : ফারুক হাসান

১৯

যেসব জায়গায় ফোন রাখলেই ক্যানসার ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে

২০
X