চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাঁদাবাজকে ধরলে দলীয় নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে তাদের ছাড়াচ্ছে : নুর

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন নুরুল হক নুর। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন নুরুল হক নুর। ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা দেখছি কোনো রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি, খুন, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি সমর্থন করছেন না বলে সভা-সমাবেশ ও গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু আমরা এটাও দেখি, পুলিশ প্রশাসন যখন কোনো চাঁদাবাজকে ধরে নিয়ে যায় তখন দলীয় নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে তাদের ছাড়িয়ে আনে।

রোববার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় নুরুল হক নুর বলেন, সম্প্রতি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাফিয়াদের যে উৎপাত দেখতে পাচ্ছি এটার জন্য যৌথবাহিনী নামানো দরকার। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নিয়মিত যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে পারে। বিশেষ করে শিল্প এলাকাকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের আধিপত্য বাড়ছে। যৌথবাহিনী সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে, আমরা ধারণা এ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে এখন জনপ্রতিনিধি নেই। সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান নেই। তাদের যে কাজ, সেটা কে করবে? ইউএনও করছে! ইউএনওকে অমুক দল গিয়ে এদিকে টানে, তমুক দল গিয়ে ওদিকে টানে। প্রভাব দেখাচ্ছে- আমরা গণঅভ্যুত্থানের লোক। আজ নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই বলেই এসব হচ্ছে। সেখানে যদি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকতো, ইউএনও তার সহযোগিতা নিয়ে কাজগুলো সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারত। সে কারণে আমরা বলছিলাম- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য। নির্বাচনের একটি পরিবেশ তৈরির জন্যও স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে।

বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের যে ধর্মীয় সংস্কৃতি সেটি মনে হয় খুব কম দেশেই রয়েছে। এখানে আমরা হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম মিলেমিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করি। তারপরেও ৫ আগস্টের পরে দেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে, জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর, ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের আশপাশে এমনটি হয়নি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ত ঘটেছে। আমি মনে করি, এ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা অনেক সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে, অনেক সহনশীল ছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে ৫ লাখ লোকের লাশ পড়বে। ৫০০ লোকেরও লাশ পড়েনি। মানুষ তো সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ দিতে হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১০

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১১

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৩

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৪

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৫

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৬

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৭

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৮

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৯

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

২০
X