

ছোট ফেনী নদীর ভয়াবহ ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টু। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সোনাগাজী-দাগনভূঞা সীমান্তবর্তী ফাজিলের ঘাট এলাকায় তিনি নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শনকালে তিনি নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দুর্ভোগের কথা শোনেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা জানান।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর ২০২৪ সালের আগস্টে বন্যার পানির প্রবল চাপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ছোট ফেনী নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। এর ফলে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নদীভাঙনে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার অসংখ্য ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতভিটা হারানোর আশঙ্কায় শত শত পরিবার নিঃস্ব হওয়ার পথে। ভাঙন আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে সোনাগাজী, দাগনভূঞা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার হাজারো মানুষের। অনেকেই ভাঙনের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছোট ফেনী ও সিলোনিয়া নদীর তীরবর্তী অন্তত ৪০টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক বসতভিটা ও বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীভাঙনে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুছাপুর রেগুলেটর পুনর্নির্মাণ না করা পর্যন্ত নদীভাঙন পুরোপুরি রোধ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে তারা জানান।
পরিদর্শনকালে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুল উদ্দিন, যুবদলের আহ্বায়ক কবির আহমেদ ডিপলু, বিএনপি নেতা পেয়ার আহম্মেদ আকাশসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন