কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অফিসে যে ৬ আচরণ আপনার এড়িয়ে চলা উচিত

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

অফিসে ভালোভাবে কাজ করা শুধু দক্ষতার ওপর নির্ভর করে না। কীভাবে আপনি সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ করছেন, তা অনেক বড় প্রভাব ফেলে আপনার পেশাদার ইমেজ এবং অফিসের পরিবেশের ওপর। অনেক সময় ছোটখাটো আচরণ ভুলে যাওয়া বা অনিচ্ছাকৃতভাবে করা কিছু কাজই টিমের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পারে।

যেমন, হঠাৎ হাইভলিউম মিউজিক বাজানো, শুধু কিছু মানুষের মধ্যে চলমান চ্যাটে অংশ নেওয়া, বা সহকর্মী নিয়ে গসিপ করা—এসব দেখতে ছোট আচরণও এক ধরনের অসভ্যতা হিসেবে ধরা হয়। অফিসে এমন আচরণ কেবল সহকর্মীদের মনোযোগ বিভ্রান্ত করে না; বরং আপনার পেশাদারিত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আরও পড়ুন : এসব অভ্যাস অফিসে আপনাকে আরও স্মার্ট করে তুলবে

আরও পড়ুন : সফল ব্যক্তিরা সকালের নাশতার আগেই যেসব কাজ করেন

আজ আমরা এমন কিছু আচরণ নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো অফিসে এড়ানো উচিত। পাশাপাশি, কেন এসব আচরণ ক্ষতিকর এবং কীভাবে ছোট ছোট পরিবর্তন করে অফিসের পরিবেশকে আরও সম্মানজনক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং উৎপাদনশীল করা যায়, সেটাও দেখানো হবে। যদি আপনি চাচ্ছেন যে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর হোক এবং নিজের পেশাদার ইমেজ শক্তিশালী হোক, তবে এই নিয়মগুলো মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সবাইকে আপনার শব্দে কষ্ট দেওয়া উচিত নয় : মিউজিক বা ভিডিও হেডফোন ছাড়া চালানো সহকর্মীদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। এতে মনে হতে পারে আপনি অন্যদের প্রতি যত্নবান নন।

ডিভাইসের নোটিফিকেশন চুপে রাখুন। ফোনের রিংটোন অদ্ভুত হলে Do Not Disturb মোড ব্যবহার করুন।

কথোপকথনে সবাইকে বাদ দেওয়া উচিত নয় : কাজের ফাঁকে হালকা চ্যাট ঠিক আছে, কিন্তু শুধুমাত্র কিছু সহকর্মী যারা আপনার মতো বিষয় জানে, তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন না।

নতুন বা অজানা সহকর্মীরা এতে আলাদা মনে করতে পারে, যা টিমের মিলনকে বাধা দেয়।

সহকর্মীর গসিপ করা উচিত নয় : বাথরুম বা অফিসের শেয়ারড স্পেসে সহকর্মী বা বস নিয়ে গসিপ করা খুবই অপ্রফেশনাল। সমস্যা থাকলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন বা প্রয়োজনে মধ্যস্থতার সাহায্য নিন।

ব্যক্তিগত সমস্যার কথা আনবেন না, যদি তা প্রাসঙ্গিক না হয় : হঠাৎ কোনো জরুরি পরিস্থিতি যেমন অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা হলে অবশ্যই আপনার সুপারভাইজার বা HR-কে জানান। কিন্তু অন্য ব্যক্তিগত সমস্যা অফিসে আনা উচিত নয়। এটি সহকর্মীদের মনোযোগ ভঙ্গ করতে পারে এবং আপনার পেশাগত ইমেজ খারাপ করতে পারে।

বিভ্রান্তিকর বা একাকী জারগন ব্যবহার করবেন না : কাজের জন্য বিশেষ সংক্ষিপ্ত রূপ বা জারগন ব্যবহার করা স্বাভাবিক, কিন্তু ধরে নেওয়া ঠিক নয় যে সবাই তা বুঝবে।

প্রয়োজন হলে জারগন ব্যাখ্যা করুন বা একটি ছোট টার্ম লিস্ট বানিয়ে শেয়ার করুন। এতে টিমের সবাই একই পাতায় থাকবে।

অসুস্থ হলে অফিসে আসবেন না : অসুস্থ অবস্থায় কাজ করলে নিজের জন্যও ভালো হয় না, এবং সহকর্মীরাও অসুস্থ হতে পারে। হালকা ঠান্ডা বা অসুস্থতা থাকলেও বাড়িতে থেকে কাজ করার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন : মা-বাবা না থাকলে কেন ভাইবোনেরা দূরে সরে যায়

আরও পড়ুন : ডিম কি হার্টের জন্য ক্ষতিকর

অফিসের আচরণ সব জায়গায় এক নয়; কিন্তু এই নিয়মগুলো মানলে পেশাদার এবং সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখা সহজ হয়। সবার সঙ্গে ভালো যোগাযোগ এবং মনোযোগ সহকারে আচরণ করলে, আপনি একজন দায়িত্বশীল এবং সহযোগিতাপ্রিয় সহকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্টার্লিংয়ের ফিফটিতে প্রথম সেশন আয়ারল্যান্ডের

যুবলীগ নেতা বিল্লাল আটক

বিপিএল: একাদশে তিন না চার বিদেশি, সিদ্ধান্ত জানাল বিসিবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

তিন হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে জবি শিবিরের ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচি

লাস্যময়ী রূপে দর্শনা

গুগল ম্যাপসে এবার এলো আপনার যাত্রার নতুন বন্ধু

নদীর তীরে ঝুপড়ি ঘরে মিলল স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ

দিল্লি বিস্ফোরণের সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দশম দিনের শুনানি চলছে

১০

দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার বাসচালক

১১

বিএনপিতে যোগ দিলেন ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী

১২

অফিসে যে ৬ আচরণ আপনার এড়িয়ে চলা উচিত

১৩

মানব পাচার মামলায় বায়রার সাবেক নেতা ফকরুল গ্রেপ্তার 

১৪

আর্জেন্টিনা দল থেকে বাদ তিন তারকা ফুটবলার, জানা গেল কারণ

১৫

চিরনিদ্রার দেশে ধর্মেন্দ্র, গুজব নাকি সত্যি?

১৬

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

১৭

স্বর্ণের দাম দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চ, মূল কারণ কী

১৮

কাস্টিং কাউচের শিকার রেনুকা

১৯

দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার

২০
X