অনেকেই আছেন, শীতে প্রতিদিন গোসল করেন না। হাত, পা ও মাথা ধুয়ে কাপড় পরিবর্তন করে বডি স্প্রে দিয়ে কাজ সারতে চান। কিন্তু এগুলোর ক্ষতিকর দিকগুলো ভাবেন না। বলেন, ধুর গোসল না করলে কিচ্ছু হয় না! ব্যস! কয়েকদিন গোসল বন্ধ!
অনেকের যুক্তি, শীতের দেশের অসংখ্য নাগরিক নিয়মিত গোসল করেন না। কিন্তু এ কারণে তাদের মধ্যে রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ে, এমন তথ্য জানা যায় না। তাই এ নিয়ে বিচলিত হওয়াটা অহেতুক। আসলেই কি তাই?
মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, গোসলের কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ত্বকে উপস্থিত জীবাণু গোসল করলে মরে যায়। তাই প্রতিদিন গোসল করা জরুরি। এতে সুস্থ থাকা যায়। এড়িয়ে চলা যায় একাধিক সংক্রামক অসুখের ফাঁদ। তাই শীতে গোসল না করার ভুলটা করা যাবে না।
আর শীতের দেশে গোসল না করার বিষয়টি? সত্যি বলতে পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে উপমহাদেশের আবহাওয়ার পার্থক্য রয়েছে। আমাদের দেশে জীবাণুর প্রকোপ অনেক বেশি। তাই ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা দু-একদিন গোসল না করলে হয়তো কিছু হবে না। কিন্তু আমরা নিয়মিত গোসল না করলে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার শঙ্কা থাকবে।
হালকা গরম পানিতে গোসল করুন
শীতে অত্যধিক ঠান্ডা পানিতে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বাড়বে। তাই এই ঋতুতে হালকা গরম পানিতে গোসল করতে হবে।
গা মুছে নিতে পারেন
তবে শীতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতিদিন গোসল না করালেও চলবে। এর পরিবর্তে তাদের শরীর গরম পানি দিয়ে মুছে দিতে পারেন। কিন্তু শরীর মোছার সময় সাবান ব্যবহার করতে হবে। শুধু শরীর মুছে দিলে তেমন উপকার হবে না। বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই জরুরি।
তেল মাখার সময় সাবধান
শীতের দিনে ত্বকের খেয়াল রাখতে তেল মাখতে হবে। এক্ষেত্রে সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল মাখা যায়। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা বেশি তেল মাখবেন না। এই ভুল করলে ব্রণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। ঠিক একইভাবে কানে তেল দেওয়া যাবে না। তাতে পিছু নিতে পারে একাধিক ছোট-বড় সমস্যা।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া
মন্তব্য করুন