ক্যানসার একটি ভয়াবহ রোগ। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যানসার। আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। প্যাকেটজাত খাবার, প্রসেসড ফুড, ভেজাল খাবারের চল দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সেটাই ক্যানসারের মূল কারণ হয়ে উঠেছে।
শরীর সুস্থ রাখতে শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ভাজাভুজি, প্রসেসড খাবারের প্রতিই অধিকাংশের ঝোঁক বেশি। এর ফল ক্যান্সার। হ্যাঁ, বেশ কয়েকটি খাবারের অভ্যাসই কিন্তু জীবনে ঘটাতে পারে ছন্দোপতন। ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মরণ রোগ। তাই সময় থাকতে রোজকার ডায়েট থেকে বাদ দিন বেশ কিছু খাবার।
যে সাত ধরণের খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
প্রক্রিয়াজাত মাংস
বাজার থেকে কিনে আনা টাটকা মাংসে ক্যানসারের ঝুঁকি তেমন একটা থাকে না। কিন্তু মাংসে যখন বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নানা ধরনের রাসায়নিক যোগ করা হয়, তখন তা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। প্রসেসড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খেলে পেটে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যা মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এই সব খাবার কম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
রেড মিট
গবেষণা বলছে, রেড মিট বা লাল মাংস বেশি খেলে তাও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বিশেষ করে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা রেড মিট খেলে (আগুনে ঝলসানো) তা মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মিষ্টি পানীয়
অনেকেই অতিরিক্ত চিনি দেওয়া পানীয় খেতে ভালোবাসেন। ঠান্ডা পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত জুসে বেশি মাত্রায় চিনি থাকে। নিয়মিত মিষ্টি পানীয় খেতে থাকলে তাতে কিন্তু স্থূলত্বের সমস্যা বাড়তে পারে। অনেকদিন ধরে স্থূলত্বের সমস্যা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
মদ
নিয়মিত মদ্যপানের ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়াও খাদ্যনালির ক্যানসার, লিভার ও ব্রেস্ট ক্যানসার হতে পারে।
ভাজাভুজি
কার্সিনোজেনিক উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ডিপ ফ্রায়েড খাবারের মধ্যে। যার ফলে বেশি বেশি ভাজা খাবার খেলেও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্যাকেটজাত খাবার
এই খাবারগুলো দেখতে যতটা নিষ্পাপ বাস্তবে ঠিক তার কয়েকগুণ বেশি ক্ষতিকর। খুব সহজেই ইডলি, পাস্তা, নুডলস বানানো সম্ভব। তাই খিদে পেলেই আমরা চটজলদি এসব বানিয়ে খেয়ে থাকি। এই ধরনের প্যাকেটজাত খাবারে বিসফেনল নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে। নিয়মিত এই সব ইনস্ট্যান্ট খাবার শরীরে গেলে তা থেকে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
পরিশোধিত খাবার
সাদা তেলে ভাজা ময়দার লুচি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ময়দা ও সাদা তেল দুটিই পরিশোধিত বা রিফাইন্ড হওয়ায়, তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এই জাতীয় খাবার অধিক পরিমাণে খেলে স্তন ক্যানসার ও ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার হতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার খাওয়া কম খেতে হবে।
মন্তব্য করুন