কোটা আন্দোলন ঘিরে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। দেশব্যাপী হামলা-ভাঙচুরের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করেছে সচিবালয়ভিত্তিক সংগঠন দুটি।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (সচিব) মো. খাইরুল ইসলাম।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাইরুল ইসলাম বলেন, কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি হামলা ভাঙচুরকারীরা কেউ ছাত্র নয়। তারা স্বাধীনতাবিরোধী। এদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা এই অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।
কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সচিব খাইরুল বলেন, আমরা সরকারের আজ্ঞাবহ কর্মচারী। কর্মচারীরা রাষ্ট্রের সেবক। তাদের ওপর আঘাত প্রমাণ করে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে হামলাকারীরা। সুতরাং ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনগুলোতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারের সচিব মো. খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে অতীতের মতো এখনো ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। প্রধানমন্ত্রী বিকল্প কেউ এখনো তৈরি হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। তিনি যতদিন দেশের নেতৃত্বে থাকবেন ততদিন এ দেশের মানুষ এবং কর্মচারীরা নিরাপদে থাকবে। আন্দোলনের নামে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সমাবেশের পরে আগস্টে জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ( রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুস সালামকে আহবায়ক ও বাংলাদেশ সচিবালয় ১৭-২০ সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হালিম মিয়াকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় মো. জামসেদ আলম, বাংলাদেশ সচিবালয় ১৭-২০ সরকারি কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ বদরুল হায়দার, মো. শাহ আলম, মো. নেছারুল হাসান, মো. নিয়াজ মোরশেদ মিঠু, মো. জাকারিয়া হাসান, মো. মোশফেকুর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রিয়াজ সোহেল, মো. মহিবুল আলম সরদার, মো. ফসিয়ার রহমান, মো. ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন