কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ০২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জিয়া আমার মা-বাবার জন্য মোনাজাতের সুযোগটাও দেয়নি : প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত

জিয়া আমার মা-বাবা ও ভাইবোনের জন্য মোনাজাতের সুযোগটাও দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর জিয়াউর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। মা-বাবা, ভাইবোনের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করব; সেই সুযোগটাও দেয়নি।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা প্রটেকশনে ঘুরে বেড়াচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। জিয়াউর রহমান আমাদের আসতে বাধা দিয়েছে। শেখ রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমাদের আত্মপরিচয়ের সুযোগ এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। সে পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারপরেই সেই ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সাল আমাদের জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়। ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

আরও পড়ুন : শোকের মাস শুরু, মাসব্যাপী আ.লীগের কর্মসূচি

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো মানুষ তার আপনজন খুন হলে বিচার চায়, আর আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকারই ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় আসে, ওই ফারুককে ফ্রিডম পার্টি করার সুযোগ দেয়, রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কর্নেল রশিদ, হুদা নিয়ে জনগণের ভোট চুরি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে। যে নির্বাচনে ২/৩ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে ওই রশিদকে পার্লামেন্টের বিরোধী দলের আসনে বসায়। হুদাকে পার্লামেন্টের মেম্বার করে। তারা খুনিদের উৎসাহিত করে একের পর এক অমানবিক কাজ করে গেছে।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। আলোচনাসভা সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১০

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১১

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১২

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৩

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৪

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৫

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৬

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৭

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৮

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

১৯

নাসিক কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান গ্রেপ্তার

২০
X