গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী (দিদার) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী (দিদার) নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি করছে, অনতিবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ বিচারের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং নিহত শওকত আলীর (দিদার) শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে, এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে দাবি করা হয়, “গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, তার সহধর্মিণী ও তাদের দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।”
মন্তব্য করুন